সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: যে ৪ টি ছোট্ট অভ্যাস চিরকাল সুরক্ষিত রাখবে আপনার চোখ

যে ৪ টি ছোট্ট অভ্যাস চিরকাল সুরক্ষিত রাখবে আপনার চোখ




চোখ আমাদের কতোটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি চোখের জন্য আমরা আলাদা ভাবে কোনো যত্ন করি কি না?চোখের আলাদা করে সত্যিই তেমন করে যত্ন নেওয়া হয় না কারোরই। অথচ এটি আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। আমরা কখনো কল্পনা করতে পারবো না তার অনুভূতি যিনি হারিয়েছেন এই অমূল্য সম্পদটি। সুতরাং সতর্ক থাকা উচিত এই চোখের ব্যাপারে। বেশি কিছু নয় সামান্য সচেতনতায় শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি বেশ নিরাপদেই রাখা যায়।


বাড়তি লবণ খাবেন না
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা আমরা সকলেই জানি। আর যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা রয়েছে আছে, তাদের জন্য লবণ অনেক মারাত্মক। কিন্তু আপনি জানেন কি? চোখের উপরেও পড়ে এই বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস? চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয় এই বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস। তাই লবণ খেতে হবে পরিমিত। অর্থাৎ যতোটুকু লবণ না খেলেই নয় ততোটা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাড়তি লবণ একেবারেই খাওয়া চলবে না।
 
খাদ্য তালিকায় রাখুন মাছ
আমরা জানি হলুদ ফলমূল এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত ভালো। এর পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত মাছ। কারণ মাছে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। গবেষণায় দেখা যায়, ড্রাই আই সিনড্রোম প্রতিরোধে মাছ ও মাছের এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সবচাইতে বেশি কার্যকরী। তাই প্রতিদিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস চোখের জন্য অত্যন্ত ভালো। আর যদি প্রতিদিন তা সম্ভব না হয় তাহলে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খেতে হবে অবশ্যই।
  

একটানা কাজ না করে মাঝে বিরতি নিন
যাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা কাজ বিশেষ করে চোখের বেশি প্রয়োজন এমন কাজ ও পড়াশোনার কাজ করেন, তাদের এই টানা কাজ করার অভ্যাস কমাতে হবে। কারণ একটানা চোখ খাটানোর অভ্যাস, একটানা বসে কাজ করার মতোই ক্ষতিকর। যারা এভাবে একটানা কাজ করে তারা প্রতি ৩০ মিনিট পর পর বিরতি নিয়ে চোখকে বিশ্রাম দিন। ৩০ মিনিট পর পর মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের বিশ্রামই চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যথেষ্ট।

নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন
প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করার সুফল শুধুমাত্র আমাদের দেহের উপরেই প্রভাব ফেলে না, এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখা যায় আমাদের চোখের ওপরেও। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস চোখের ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার কমায়, যা গ্লুকোমা প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায়, যেসব গ্লুকোমার রোগী সপ্তাহে অন্তত চার দিন ৪০ মিনিট করে হাঁটেন, তাঁদের ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমে আসে অনেকাংশেই। সুতরাং নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।


সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট


সূত্রঃ প্রিয়.কম, Thursday, 18 December 2014 - 8:48am

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।