চায়ে
রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
শুধু
তা-ই নয়, চা
রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। আর লৌহ
শোষণের মাত্রা কমায় এই চা। এতে পটাশিয়াম, জিংক তো আছেই। রং
চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান
করলে
নানা উপকার পাওয়া যায়। এই চা
বিতৃষ্ণা ও বমির ভাব দূর করে,
পাকস্থলীর
কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের
প্রদাহ কমায়, শ্বাসতন্ত্রের
রোগ মোকাবিলা
করে, রক্ত
সঞ্চালন বাড়ায়, ঋতুচক্রের
ফলে সৃষ্ট প্রদাহ লাঘব করে,
রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে|
‘হরেক রঙের
বাহারে, সকাল
হল আহারে/ চুলার পাড়ে উড়ছে ধোঁয়া, এক কাপ চা...!’
হয়তো
বা এমন গানের ভাবনায় কেউ কেউ বলেন,
সকালের
আরেক নাম তো এক কাপ ধূমায়িত
গরম চা! চা-গাছ থেকে সংগ্রহ করা পাতা থেকে প্রস্তুত-পদ্ধতির ভিন্নতা অনুসারে চা হরেক
রকমের হয়।
চা তো পান করছেন নিয়মিত, কিন্তু কোন চা আপনার স্বাস্থ্যে কী রকম প্রভাব রাখছে, তা কি ভেবে দেখেছেন কখনো? এ বিষয়ে জানালেন বারডেম হাসপাতালের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডা. আখতারুন নাহার।
চা পান করলে কী উপকার?
চা পান করলে শরীরে চনমনে ভাব আসে—এ তো আমরা সবাই জানি। শরীর-মনজুড়ে এই ক্লান্তি দূর করে চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন। এ ছাড়া চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তা-ই নয়, চা রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। আর লৌহ শোষণের মাত্রা কমায় এই চা। এতে পটাশিয়াম, জিংক তো আছেই। এসব তো গেল চায়ের সাধারণ গুণাবলি। তবে বিভিন্ন চায়ের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।
চা বারবার, কিন্তু কতবার?
কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়, তবে দিনে চার-পাঁচ কাপ চা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন, অবশ্যই তা যদি হয় সবুজ চা কিংবা রং চা! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সবুজ চা কিংবা ওলং চা পান করলে, যাঁরা পান করেন না, তাঁদের চেয়ে শতকরা ৪৬-৬৫ ভাগের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। ৪০ হাজার ৫৩০ জন জাপানির ওপর আরেকটি গবেষণা করে দেখা গেছে, দিনে পাঁচ কাপের বেশি সবুজ চা পান করলে, যাঁরা চা পান করেন না, তাঁদের তুলনায় শতকরা ২৬ ভাগের হৃদ্রোগ কিংবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি কমে।
চা তো পান করছেন নিয়মিত, কিন্তু কোন চা আপনার স্বাস্থ্যে কী রকম প্রভাব রাখছে, তা কি ভেবে দেখেছেন কখনো? এ বিষয়ে জানালেন বারডেম হাসপাতালের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডা. আখতারুন নাহার।
চা পান করলে কী উপকার?
চা পান করলে শরীরে চনমনে ভাব আসে—এ তো আমরা সবাই জানি। শরীর-মনজুড়ে এই ক্লান্তি দূর করে চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন। এ ছাড়া চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তা-ই নয়, চা রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। আর লৌহ শোষণের মাত্রা কমায় এই চা। এতে পটাশিয়াম, জিংক তো আছেই। এসব তো গেল চায়ের সাধারণ গুণাবলি। তবে বিভিন্ন চায়ের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।
চা বারবার, কিন্তু কতবার?
কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়, তবে দিনে চার-পাঁচ কাপ চা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন, অবশ্যই তা যদি হয় সবুজ চা কিংবা রং চা! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সবুজ চা কিংবা ওলং চা পান করলে, যাঁরা পান করেন না, তাঁদের চেয়ে শতকরা ৪৬-৬৫ ভাগের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। ৪০ হাজার ৫৩০ জন জাপানির ওপর আরেকটি গবেষণা করে দেখা গেছে, দিনে পাঁচ কাপের বেশি সবুজ চা পান করলে, যাঁরা চা পান করেন না, তাঁদের তুলনায় শতকরা ২৬ ভাগের হৃদ্রোগ কিংবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি কমে।
কালো
চা (ব্ল্যাক টি)
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এই কালো চা। পুরোপুরি গাঁজন করার পর ছোট ছোট দানাদার এই চা খাওয়ার উপযোগী হয়। কালো চা আমরা সাধারণত লিকার হিসেবে (রং চা) অথবা দুধ-চিনি মিশিয়ে পান করে থাকি। তবে রং চায়ে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কালো চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া এই চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে তা হতে হবে দুধ ছাড়া রং চা। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য অবশ্যই রং চাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এই কালো চা। পুরোপুরি গাঁজন করার পর ছোট ছোট দানাদার এই চা খাওয়ার উপযোগী হয়। কালো চা আমরা সাধারণত লিকার হিসেবে (রং চা) অথবা দুধ-চিনি মিশিয়ে পান করে থাকি। তবে রং চায়ে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কালো চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া এই চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে তা হতে হবে দুধ ছাড়া রং চা। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য অবশ্যই রং চাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
সবুজ চা (গ্রিন টি)
চা-গাছের সবুজ পাতা রোদে শুকিয়ে তাওয়ায় সেঁকে এই চা প্রস্তুত করা হয়। এটি একেবারেই গাঁজন করা হয় না। সবুজ চায়ের গুণাবিল বলে শেষ করা যাবে না। এতে উচ্চহারে ক্যাফেইন থাকে, যা আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া সবুজ চায়ে বিদ্যমান অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিশেষভাবে ত্বক ও খাদ্যনািলর ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত এই চা পান করলে আপনার ত্বক থাকবে টান টান সতেজ। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয় রোধ, মাড়ি মজবুত করা তো এর নিয়মিত কাজেরই একটি। শুধু তা-ই নয়, এই চা নিয়মিত পান করলে শরীরের মেদ কোষে গ্লুকোজ ঢুকতে পারে না।
ওলং চা!
এই চা অর্ধেক গাঁজন করেই প্রস্তুত করা হয়। অর্থাৎ প্রস্তুত প্রণালির ভিত্তিতে কালো চা আর সবুজ চায়ের মাঝখানে এর অবস্থান। সবুজ চায়ের মতো এর আছে বহুমুখী গুণ। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর ওলং চায়ের লিকার পান করলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। ওলং চা বাংলাদেশে পাওয়া যায়, তবে কিছুটা অপ্রতুল এবং দামও কিছুটা বেশি
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।