আমাদের আশে পাশে এরকম অনেক জিনিস আছে যার গুনাগুণ সম্পর্কে
আমাদের তেমন একটা
ধারণা নাই। এর মধ্যে একটি হল সজনে পাতা। আমরা অনেকেই সজনে খাই সবজি হিসেবে কিন্তু জানি না যে
সজনের সাথে সাথে সজনে পাতাও খাওয়া যায়। তাছাড়া
এই সজনে
পাতার রয়েছে আরও বহু ব্যবহার।সজনে ডাঁটার মতো এর পাতারও রয়েছে যথেষ্ট গুণ। সজনে পাতা শাক হিসেবে, ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে
মুখের রুচি বাড়ে। সজনে পাতার রস খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট
সারে ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। তাছাড়া
পাতাকে অনেকক্ষণ
সিদ্ধ করে তা থেকে যে ঘন রস পাওয়া যায় তার সঙ্গে হিং (এক ধরনের বৃক্ষ বিশেষ) ও শুকনো আদার
গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ালে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যায়।
বার্মিজ
চিকিৎসকদের মতে সজনের পাকা পাতার টাটকা রস দু’বেলা খাবারের
ঠিক
আগে ২-৩ চা চামচ করে খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। সজনে পাতার বেটে অল্প গরম করে ফোঁড়ার ওপর
লাগালে ফোঁড়া ফেটে যায়। দ্রুত
আরোগ্য হয়। সজনে পাতার রস মাথায় ঘষলে খুসকি দূর হয়।এছাড়া সম্প্রতি আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সজনের মতোই খাদ্যপ্রাণে
ভরা তার পাতা। সজনে শাকে অনেকটা করে ফোলেট, ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম
পাতায় ভিটামিন সি থাকে ৪৮.৫
মিলিগ্রাম। ফোলেট ৩৯ মাইক্রোগ্রাম। ক্যালসিয়াম ১৫১ মিলিগ্রাম।
সজনে
পাতা ডালের সঙ্গে রেঁধেও খাওয়া যায়। খাওয়া
যায় ভেজেও।
সজনে পাতায়
রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ (বিটা ক্যারোটিন), ভিটামিন
B1-(থায়ামাইন), ভিটামিন B2 (Riboflavin), ভিটামিন
B3(Niacin), ভিটামিন
B6 (পাইরিডক্সিন), ভিটামিন B7 (biotin), ভিটামিন
সি (অ্যাসকরবিক এসিড), ডি (Cholecalciferol), ভিটামিন
ই (Tocopherol) এবং
ভিটামিন কে। সজনে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উৎস (30%) হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এতে ১৮ টি অ্যামিনো অ্যাসিড (৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয়
অ্যামাইনো অ্যাসিড), ৪৭টি
সক্রিয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ৩৬টি এন্টি ইনফ্লামেটরিস(anti-inflammatories) রয়েছে। সজনে পাতাতে কমলালেবুর থেকে ৭ গুন বেশি
ভিটামিন সি, একটি
গাজরে বিদ্যমান
ভিটামিন A থেকে ৪
গুন বেশি ভিটামিন A, দুধের
থেকে ৪ গুন বেশি ক্যালসিয়াম, কলার থেকে ৩ গুন বেশি
পটাসিয়াম, সেইসাথে
“zeatin”, “quercetin”,
“beta-sitosterol”, “caffeoylquinic acid”,”kaempferol”, “silymarin” এবং
অপরিহার্য খনিজ পদার্থ জিঙ্ক এবং আয়রন বিদ্যমান। সজনেপাতা এমন একটি খাদ্য যা শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারে। আর মানুষের অথবা পাখির শরীরের জন্য দরকারি সকল
ভিটামিন, অ্যান্টি
অক্সিডেন্টস, খনিজ পদার্থ
এবং প্রোটিন
এতে বিদ্যমান।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
গুন অনেক, কিন্তু খেতেতো পায় না। সেই ছোটকালে খেয়েছিলাম।
উত্তরমুছুন