অস্বস্তিকর সমস্যার কথা বললে শুরুতেই আসবে মুখের দুর্গন্ধের কথা। নিজের জন্য তো বটেই, আশপাশের মানুষেরও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এটি। দাঁতে জমা রোগজীবাণুই মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
মুখে
দুর্গন্ধ হওয়ার কারণগুলোঃ
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করা। এর ফলে দাঁতের গোড়া, মাড়ি ও মুখের কোনায় খাদ্যকণা লেগে থেকে যায়। আর মুখে বাসা বাঁধে ব্যাকটেরিয়া। এগুলো মুখে জমে থাকা খাবারগুলো পচিয়ে ফেলে, গলিয়ে দেয়। পরিণামে মুখে জমে রোগজীবাণু এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়। খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া, সময় মেনে না খাওয়া, রাতে জেগে থাকা, পরিমাণমতো পানি না খাওয়া, পান-সুপারি-জর্দা বা তামাক পাতা খাওয়া—এই অভ্যাসগুলোর জন্য মুখে দুর্গন্ধ হয়। যেকোনো মাদকদ্রব্য দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন দাঁত,
দাঁতের মাড়িও দুর্বল হয়ে যায়। ফলে নানা রোগজীবাণু আক্রমণ করে। পরিণামে মুখে বাজে গন্ধ হয়। মানহীন প্রসাধনী
থেকেও
মুখে গন্ধ হতে পারে। ঠিকমতো ঠোঁটের মেকআপ না উঠালে, প্রসাধনী জমে ঠোঁটের কোনায়
রোগজীবাণু বাসা বাঁধবে, এতে
গন্ধ ছড়াবে।
ব্রাশ ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে বা অনেক দিন ধরে একই ব্রাশ ব্যবহার করলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ব্রাশ ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে বা অনেক দিন ধরে একই ব্রাশ ব্যবহার করলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
সজীব
শ্বাসের জন্যঃ
১। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তৈলাক্ত, চর্বিজাতীয় খাবার, মিষ্টি খাওয়ার পরে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করতে
হবে।
২। মাউথওয়াশ বা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মাঝে মাঝে কুলি করলে মুখের রোগজীবাণুগুলো মরে যাবে।
২। মাউথওয়াশ বা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মাঝে মাঝে কুলি করলে মুখের রোগজীবাণুগুলো মরে যাবে।
৩। দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন।
৪। নিয়মিত জিহ্বাও পরিষ্কার করতে হবে।
৫। প্রতিদিন দুই লিটার পানি পান করুন। তবে কিডনির জটিলতায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি খেতে হবে।
৬। বছরে একবার বা সম্ভব হলে দুবার দাঁতের স্কেলিং করান।
৭। ঠোঁটের প্রসাধনী ঠিকমতো পরিষ্কার করবেন।
৮। মুখে বাঁধানো দাঁত থাকলে তার যত্ন নিন।
৯। দাঁত বা মাড়ির কোনো অসুখে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১০। সাদা রঙের টুথপেস্টে ফ্লোরাইড থাকে প্রচুর পরিমাণে। এই ধরনের টুথপেস্ট দাঁতের জন্য বিশেষ উপযোগী।
১১। এগুলো ব্যবহার করাই ভালো।
১২। যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য, ধূমপান, গুল ইত্যাদি পরিহার করুন।
৪। নিয়মিত জিহ্বাও পরিষ্কার করতে হবে।
৫। প্রতিদিন দুই লিটার পানি পান করুন। তবে কিডনির জটিলতায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি খেতে হবে।
৬। বছরে একবার বা সম্ভব হলে দুবার দাঁতের স্কেলিং করান।
৭। ঠোঁটের প্রসাধনী ঠিকমতো পরিষ্কার করবেন।
৮। মুখে বাঁধানো দাঁত থাকলে তার যত্ন নিন।
৯। দাঁত বা মাড়ির কোনো অসুখে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১০। সাদা রঙের টুথপেস্টে ফ্লোরাইড থাকে প্রচুর পরিমাণে। এই ধরনের টুথপেস্ট দাঁতের জন্য বিশেষ উপযোগী।
১১। এগুলো ব্যবহার করাই ভালো।
১২। যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য, ধূমপান, গুল ইত্যাদি পরিহার করুন।
গ্রন্থনা: ফারহানা মোবিন
সূত্রঃ প্রথম আলো, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।