গর্ভাবস্থায় বিমানযাত্রার সবচেয়ে নিরাপদ সময় ৩৭ সপ্তাহের
আগে, আর যমজ
বা একাধিক
সন্তান ধারণ করলে ৩২ সপ্তাহের আগে। যুক্তরাজ্যের
রয়্যাল কলেজ অব অবসেট্রিশিয়ানস
অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস সম্প্রতি এই পরামর্শ দিয়েছে। খবর বিবিসির।ব্রিটিশ
চিকিৎসকেরা আরও বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ
গর্ভধারণ না হলে এই অবস্থায়
বিমানযাত্রা ক্ষতিকর নয়,
তবে
এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে
পারে। বিমানযাত্রায় সব যাত্রীই সামান্য
মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তার শিকার
হতে
পারেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় বিমানে চড়ার কারণে
গর্ভপাত, সন্তানের
আগাম জন্ম
কিংবা গর্ভের পানি ভেঙে যাওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।গর্ভাবস্থায়
বিমানযাত্রার
জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইনসগুলোর নিজস্ব নীতিমালা আছে।গর্ভধারণের২৮সপ্তাহপারহয়েগেলে বিমান যাত্রার জন্য অনেক এয়ারলাইনসকেই চিকিৎসকের ছাড়পত্র সরবরাহ করতে হয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃগর্ভাবস্থায় বিমানে চড়লে পানি জমার
কারণে পা ফুলে যেতে পারে,
বাতাসের
চাপ পরিবর্তনের কারণে
নাক ও কানের সমস্যা হতে পারে এবং এ ছাড়া গতিজনিত অসুস্থতার কারণে বমিভাব বেড়ে যেতে পারে। ৪ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময়ের বিমান
যাত্রায় ডিপভেইন থ্রম্বসিসের(ডিভিটি)ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
নতুন পরামর্শঃএত দিন ধরে গর্ভে একাধিক
সন্তান ধারণ করা নারীদের জন্য বিমান যাত্রার পরামর্শ ছিল ৩৪ সপ্তাহের আগে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এয়ার
ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের
(আইএটিএ) নীতিমালার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য এই নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহের
পর যে
কোনো নারীর প্রসব বেদনা শুরু হতে পারে।
রয়্যাল কলেজ অব অবসেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস-এর এ বিষয়ক এক প্রচারপত্রে বিমানযাত্রায় মেনে চলার জন্য গর্ভবতী নারীদের কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। প্রথমত ঢিলেঢালা পোশাক ও আরামদায়ক জুতা-মোজা পরে বিমানে চড়া। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর একটু হাঁটাচলা করা, এ জন্য প্রয়োজনে বিমানবালাদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নিজের আসনে বসেই হাত-পা নড়াচড়া করে হালকাভাবে ব্যায়াম করা। এমন যাত্রায় অ্যালকোহল বা ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পান না করা কিংবা কম পান করাও কাজে আসতে পারে।এ ছাড়া, গর্ভাবস্থায় বিমানযাত্রা করতে হলে অবশ্যই প্রসবের সম্ভাব্য তারিখসহ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র, গর্ভধারণের যাবতীয় তথ্যসংবলিত কাগজপত্র এবং সঙ্গে কী কী ওষুধ আছে, সেসবের আলাদা তালিকা কাগজে লিখে রেখে হাতব্যাগে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিমান যাত্রায় বিরত থাকাঃ গর্ভাবস্থার কিছু পরিস্থিতিতে বিমানযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসবের ঝুঁকিতে থাকলে, বেশি মাত্রায় রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত থাকলে, সিকেল সেল রোগ (এসসিডি) থাকলে, কিছুদিনের মধ্যেই মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকলে কিংবা হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের জটিলতায় ভুগতে থাকলে গর্ভাবস্থায় বিমানযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
রয়্যাল কলেজ অব অবসেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস-এর এ বিষয়ক এক প্রচারপত্রে বিমানযাত্রায় মেনে চলার জন্য গর্ভবতী নারীদের কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। প্রথমত ঢিলেঢালা পোশাক ও আরামদায়ক জুতা-মোজা পরে বিমানে চড়া। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর একটু হাঁটাচলা করা, এ জন্য প্রয়োজনে বিমানবালাদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নিজের আসনে বসেই হাত-পা নড়াচড়া করে হালকাভাবে ব্যায়াম করা। এমন যাত্রায় অ্যালকোহল বা ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পান না করা কিংবা কম পান করাও কাজে আসতে পারে।এ ছাড়া, গর্ভাবস্থায় বিমানযাত্রা করতে হলে অবশ্যই প্রসবের সম্ভাব্য তারিখসহ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র, গর্ভধারণের যাবতীয় তথ্যসংবলিত কাগজপত্র এবং সঙ্গে কী কী ওষুধ আছে, সেসবের আলাদা তালিকা কাগজে লিখে রেখে হাতব্যাগে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিমান যাত্রায় বিরত থাকাঃ গর্ভাবস্থার কিছু পরিস্থিতিতে বিমানযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসবের ঝুঁকিতে থাকলে, বেশি মাত্রায় রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত থাকলে, সিকেল সেল রোগ (এসসিডি) থাকলে, কিছুদিনের মধ্যেই মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকলে কিংবা হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের জটিলতায় ভুগতে থাকলে গর্ভাবস্থায় বিমানযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।