শরীরের একটি অংশে হঠাৎ ফুসকুড়ি, আর তাতে প্রচণ্ড ব্যথা বা জ্বালা। সাধারণ ব্যথার ওষুধে সেই জ্বালা-যন্ত্রণা সহজে কমে না। এ রকম একটা পরিস্থিতির নাম শিংগলস বা ভ্যারিসেলা
জোসটার। সমস্যাটা ত্বকে দেখা গেলেও আসলে এটা সংক্রমণজনিত রোগ, আর এতে আক্রান্ত হয় বিশেষ
কোনো স্নায়ু। আরও অবাক ব্যাপার,
যে
জীবাণুর মাধ্যমে এই সমস্যাটা হয় তা আপনার স্নায়ুর ভেতরই এত দিন লুকিয়ে ছিল—যদি আপনার ছোটবেলায়
জলবসন্ত হয়ে থাকে।
কেন হয় শিংগলসঃ ভ্যারিসেলা জোসটার ভাইরাস সংক্রমণের
কারণে জলবসন্ত হয়। জলবসন্ত
সেরে যাওয়ার পর সেই ভাইরাস
লুকিয়ে থাকতে পারে স্নায়ুরজ্জু বা স্নায়ুর উৎসস্থলে। পরে, বহু বছর
পরও, কোনো
কারণে সেই ভাইরাস আবার উজ্জীবিত হলে ওই স্নায়ুপথ বেয়ে ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে। আর স্নায়ু আক্রান্ত হয় বলে ওগুলো ভীষণ জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে। কিন্তু
সবার তো আর এমন হয় না। তবে
কাদের হয়
বেশি? কোনো
কারণে রোগপ্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে ঘুমন্ত ভাইরাসটি আবার জেগে ওঠে; যেমন—বয়স ৫০-এর বেশি হলে, কেমোথেরাপি বা
স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি কারণে।
কীভাবে বুঝবেনঃ? শিংগলসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
লক্ষণ, সমস্যাটি
স্নায়ুর চলমান পথে দেখা যায়। যেমন: পিঠ
বা কাঁধের কোনো এক দিকে—একটি
বিশেষ রেখা বরাবর। তাই
চিকিৎসক ত্বকের
ফুসকুড়িগুলোর অবস্থান দেখেই খানিকটা আভাস পেতে পারেন। জায়গাটিতে ব্যথা বা যন্ত্রণা হয়, চুলকায় এবং অতিসংবেদনশীল
হয়ে ওঠে। সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তি বা মাথাব্যথাথাকাওবিচিত্রনয়।চিকিৎসাকী?শিংগলসের
তেমন কোনো
চিকিৎসা নেই। তবে অতি দ্রুত অ্যান্টিভাইরাল বড়ি
খাওয়া শুরু করলে বেশ
ভালো হবে। এ ছাড়া যন্ত্রণা কমানোর জন্য
গাবাপেনটিন, এমিট্রিপটাইলিন ইত্যাদি ওষুধ দেওয়া হয়। ক্যাপসেইসিন ক্রিম ব্যবহার করলে বেশ
আরাম মেলে। এটি গুরুতর কোনো রোগ নয়, তবে এ থেকে নিউরালজিয়া বা¯স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চোখের
কাছাকাছি হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। যন্ত্রণা
কমাতে বাড়িতে
ঠান্ডা ভেজা কাপড় দিয়ে ছেঁক দিতে পারেন।
মেডিসিন বিভাগ
স্যার
সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ|
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।