সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ক্যান্সার থেকে শিশুকে রক্ষার আট উপায়

ক্যান্সার থেকে শিশুকে রক্ষার আট উপায়

মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে শিশুকে রক্ষা করতে বাবা-মায়ের উদ্বেগের কমতি থাকে নাঅথচ এই ক্যান্সারের জন্য দায়ী জীবনযাপনের ধরণযেমন- অভিভাবকের পেশা, প্রজননের ক্ষমতার ইতিহাস, অভিভাবকের ধূমপানের অভ্যাস, গর্ভকালীন মায়ের খাদ্যাভ্যাস, শিশুর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিকিন্তু খুব সহজেই সাধারণ কিছু পরিবর্তনেই প্রতিরোধ করা সম্ভব শিশুদের ক্যান্সারচিকিৎসকদের মতে, প্রতিটি অভিভাবকেরই উচিত নিজের শিশু সন্তানকে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগটির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া

১) খাদ্যাভ্যাসঃ ছোটবেলা থেকেই শিশুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ তাজা ফল, শাক-সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে করে তাদের দেহে সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।

২) পরিমিত শারীরিক পরিশ্রমঃ একেবারে ছোটবেলা থেকেই নিজের সন্তানকে শারীরিক পরিশ্রমের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলুন। শারীরিক পরিশ্রম ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। ছোটবেলা থেকেই নিজের শিশুকে ছোটোখাটো কাজ করতে দিয়ে এবং খেলাধূলার মাত্রা বাড়িয়ে শারীরিক পরিশ্রমের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলুন।

৩) শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ শিশুকাল থেকেই অনেক বেশি ওজন থাকা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস না থাকা ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। শিশুটিকে তার পছন্দের ফ্যাট জাতীয় খাবার কম দেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হবে। এ ছাড়াও শারীরিক পরিশ্রম করিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৪) ইউভিআর থেকে দূরে রাখুনঃ সরাসরি সূর্যের আলোতে আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি (ইউভিআর) থাকে। আর তাতে যেন বেশিক্ষণ ঘোরাফেরা না করে সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখুন।

৫) ধূমপান ও মদ্যপানঃ অভিভাবককে নিজের এই বাজে অভ্যাসগুলো ছাড়তে হবে। নতুবা আপনার মাধ্যমেও শিশুটি আক্রান্ত হতে পারে ক্যান্সারে। এ ছাড়াও তারা আপনাকে দেখে এই বাজে অভ্যাসগুলো শিখে নিতে পারে। তাই সাবধান।

৬) বাড়িয়ে তুলুন শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাঃ যেসকল খাবার দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে সে সব খাবার প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে শিশুকে খেতে দিন এবং সেই অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৭) কার্ভিক্যাল ক্যান্সার ভ্যাকসিনঃ ছেলে শিশুর বয়স ১২ এবং মেয়ে শিশুর বয়স ১১ হলে এই ভ্যাকসিনটি দিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। কার্ভিক্স এবং গারডাসিল নামক দুই ধরণের ভ্যাকসিন ৬ মাসে তিনটি ডোজে পূরণ হয়।

৮) হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনঃ হেপাটাইটিস বি থেকে লিভার ক্যান্সার হয়। তাই ছোটবেলায় এই ভ্যাকসিনটি দিয়ে হেপাটাইটিস বি রোগ ও ক্যান্সারের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করুন।


সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।