রক্তে
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও
ধমনিসংক্রান্ত
রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই
এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে
হয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক
পরিশ্রম রক্তে কোলেস্টেরলের
মাত্রাকে
বশে রাখে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন
পড়ে। তবে এটি ব্যক্তির কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রোগের ইতিহাসের ওপর অনেকটাই
নির্ভর করে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন
বিভাগের সহকারী
অধ্যাপক আ ফ ম হেলাল উদ্দিন বলেন, পারিবারিক ইতিহাস আছে কিংবা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাঁদের
বেশি, তাঁদের
খাওয়াদাওয়ায় খানিকটা বিধিনিষেধ
আরোপ
করতে হয়। এ ছাড়া শারীরিক পরিশ্রমকেও গুরুত্ব দিতে
হবে। আর যদি ওষুধ খেতেই হয়, তবে
অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান। যে কোনো বয়সেই কোলেস্টেরলের
সমস্যা হতে পারে। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বশে রাখতে খাদ্যাভ্যাস
ও জীবনযাপনে কতটুক পরিবর্তন আনতে হবে, তা আজই জেনে নেওয়া যাক।
শারীরিক পরিশ্রম কিংবা ব্যায়াম
করতে হবে নিয়মিত। এটি শুধু রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়
না, উপকারী
কোলেস্টেরলের মাত্রাও ১০ শতাংশ
পর্যন্ত
বাড়াতে সক্ষম। যাঁরা সময় করে উঠতে পারছেন না, তাঁরা
জোরে হাঁটুন। কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ুন। অফিসে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামায় অভ্যস্ত হন। আর যাঁদের দীর্ঘ সময় অফিসে বসে কাজ করতে
হয়, প্রতি
ঘণ্টা অন্তর অন্তত পাঁচ মিনিট হেঁটে আসুন।
মাংসের বদলে মাছে পেট ভরান। মাছ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সক্ষম। অধিকাংশ মাছেই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদান রক্ত থেকে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আর যাঁরা একেবারেই মাছ খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুল খেতে পারেন। কিছু উদ্ভিদজাত খাবার, যেমন: সয়াবিন তেল, কাঠবাদামের তেলেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
মাংসের বদলে মাছে পেট ভরান। মাছ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সক্ষম। অধিকাংশ মাছেই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদান রক্ত থেকে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আর যাঁরা একেবারেই মাছ খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুল খেতে পারেন। কিছু উদ্ভিদজাত খাবার, যেমন: সয়াবিন তেল, কাঠবাদামের তেলেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
চর্বিজাতীয় খাবারে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল কমাতে কলিজা, মগজ, ডিমের কুসুম, চিংড়ি, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ঘি, মাখন পরিহার করতে হবে। আঁশযুক্ত খাবারে নজর দিন। বিভিন্ন সবজি ও ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ডায়াটরি আঁশ পরিপাক নালি থেকে স্পঞ্জের মতো কোলেস্টেরল শুষে নিতে সক্ষম। এ ছাড়া গ্রিন টি, ইসবগুল, রসুনও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শেষে ধূমপান কিংবা মদ্যপানে শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে কি না, তা জানতে চাইলে আ ফ ম হেলাল উদ্দিন বলেন, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এ ছাড়া ধূমপান করলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। তাই রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।