সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: সাধারণ হলেও মজার ১১টি তথ্য

সাধারণ হলেও মজার ১১টি তথ্য


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কত শত ঘটনাই ঘটে। এর মধ্যেও কিছু অতি সাধারণ ঘটনা আছে যেগুলো সাধারণ হয়েও বেশ মজার। এসব মজার ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা হয়তো কখনো ভাবিও না। নিচে তেমনই কয়েকটি সাধারণ অথচ মজার ঘটনা তুলে ধরা হলো :

১. প্রতিটি মানুষের মাত্র একটা হৃদপিণ্ড থাকে। আর তাতেই আমরা কখনো কখনো নিজেরকে হৃদয়বান বলে দাবি করি বা বলে থাকি।  কিন্তু অক্টোপাস নামে একটি প্রাণীর তিন তিনটি হৃদপিণ্ড আছে। এ হিসাবে তো নিশ্চয় তারা আমাদের চেয়ে ঢের বেশি হৃদয়বান!

২. অন্য কোনো প্রাণীর পক্ষে সম্ভব হলেও মানুষের পক্ষে এক চোখ খোলা রেখে ঘুমানো অবশ্যই কঠিন বা সম্ভব না। তবে ডলফিন প্রাণীর নাম নিশ্চয় শুনেছেন। আর এ প্রাণীটি এক চোখ খোলা রেখেই নির্দ্বিধায় ঘুমাতে পারে!

৩. মানুষের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫টি ঘামগ্রন্থি আছে। ওগুলো এতো সূক্ষ্ম যে গুনে দেখতে চাইলেও সম্ভব না।

৪. পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হলো হিমালয়। এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার। মজার তথ্য হলো এর উচ্চতা নাকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে। প্রতি বছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ে হিমালয়ের উচ্চতা!

৫. মানুষের হাত ও পায়ের নখ প্রতিদিনই বাড়ে এটা সবারই জানা। কিন্তু কতটুকু করে বাড়ে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। মানুষের নখ নাকি প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে!

৬. আমরা নাকের বদলে পা দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছি ভাবতে নিশ্চয় কেমন বেখাপ্পা লাগছে! তবে আমরা মানবজাতি এই কাজ করতে না পারলেও স্যান্ড বারলার ক্র্যাব (এক প্রকার কাঁকড়া) নামে ছোট্ট প্রাণীটি কিন্তু তার পা দিয়েই নিঃশ্বাসের কাজ চালিয়ে নেয়। তবে অবশ্য তাদের নাক নেই।

৭. অজ্ঞান হওয়ার পর আমরা কোনো দিকে কিভাবে পড়ছি এ ব্যাপারে অবগত থাকি না। তবে ছোট্ট প্রাণী পিপড়া নাকি অজ্ঞান হওয়ার পরও দিকজ্ঞান থাকে!  অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়া সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে!

৮. কাউকে বোকা বলার সময় আমরা সচরাচর বলে থাকি, তোর মাথায় ঘিলু বা মগজ কম। সে হিসাবে স্টার ফিশগুলো মস্ত বোকা প্রাণী কারণ ওদের কোনো মগজই নেই।

৯. হাসাহাসিতে মেতে থাকা সহজ কোনো ব্যাপার না। মজার ব্যাপার হলো, কেউ মুচকি হা্সেন আর হো হো করে হাসেন, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংসপেশি মানুষকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশি হাসার জন্য ৫৩টা পেশী ব্যবহার করতে হয়!

১০. ইংরেজিতে ছাপা প্রথম বইয়ের নাম ছিল 'দি রেকুইয়েল অব দি হিস্টোরিয়েস অব ট্রয়' (The Recuyell of the Historyes of Troye)। বইটি ছাপা হয়েছিল ১৪৭৫ সালে আর লেখক ছিলেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।

১১. প্রতিটি মানুষের আঙুলের ছাপ ভিন্ন ভিন্ন হয়-এটা হয়তো আমাদের সবাই জানেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে  মানুষের ঠোঁটের ছাপও সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন হয়!

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন/ ৮ মে ২০১৫/শরীফ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।