সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: Imam Abu Hanifa- আবু হানিফা এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

Imam Abu Hanifa- আবু হানিফা এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত আবু হানিফা মসজিদ
ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত আবু হানিফা মসজিদ

নোমান ইবনে সাবিত ইবনে যুতা ইবনে মারযুবান (৬৯৯ — ৭৬৭ CE / ৮০ — ১৪৮ AH)[৫](আরবিنعمان بن ثابت بن زوطا بن مرزبان‎), উপনাম ইমাম আবু হানিফা নামেই অত্যাধিক পরিচিত, তিনি ফিকহশাস্ত্রের একজন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ এবং হিজরী প্রথম শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ইসলামী ফিকহের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও পরিচিত চারটি সুন্নি মাযহাবের একটি হানাফী মাযহাবের প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।

ইমামে আযম
আবু হানিফা
জন্মনোমান বিন সাবিত
সেপ্টেম্বর ৫, ৬৯৯ খ্রিস্টাব্দ/ শাবান ৪, ৮০ হিজরী
কুফাUmayyad Flag.svg উমাইয়া খিলাফত
মৃত্যুজুন ১৪, ৭৬৭ (৬৭ বছর)/ ১৫০ হিজরী
বাগদাদ Black flag.svg আব্বাসীয় খিলাফত
মৃত্যুর কারণকারাগারে নির্যাতন (কারো মতে বিষপ্রয়োগ)[১]
জাতীয়তাকুফী
জাতিভুক্তপারসিকফার্সি[২][৩][৪]
যুগহিজরী প্রথম শতাব্দী
পেশাহানাফি ফিকহের ইমাম
সম্প্রদায়ইমাম মুহাম্মদ, ইমাম আবু ইউসুফ
আইনশাস্ত্রস্বতন্ত্র মুজতাহিদ
মূল আগ্রহফিকহ, হাদীস
উল্লেখযোগ্য ধারণাকিয়াস,ইসতিহসান
লক্ষণীয় কাজহানাফি মাযহাব প্রতিষ্ঠা, ফিকহশাস্ত্রের উন্নয়ন

জম্ম, নাম বংশধর

উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের রাজত্বকালে ইমাম আবু হানিফা ইরাকের কুফা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।[৬][৭] তাঁর ছয় বছর বয়সে আবদুল মালিক মৃত্যুবরণ করে। ষোল বছর বয়সে তিনি পিতার সাথে হজ্জে গিয়েছিলেন তার পিতা সাবিত বিন যুতা কাবুল, আফগানিস্তানের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার পিতার বয়স যখন ৪০ বছর তখন আবু হানিফা জন্মগ্রহণ করেন। বংশধরের দিক থেকে তাকে অ-আরবীয় বলে ধরা হয়ে থাকে কারণ তার দাদার নামের শেষে যুতা। প্রখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ খতীবে বাগদাদী আবু হানিফার নাতি ইসমাইল বিন হামাদের বক্তব্য থেকে আবু হানিফার বংশ ব্যাখা দেন। অন্য আরেক ইতিহাসবিদ হামাদ আবু হানিফাকে পারসিক বংশ্বদ্ভূত বলে দাবি করেন।[৩][৪] আবু হানিফার বংশ নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য মত হলো তিনি কাবুলের পারসিক বংশদ্ভূত।[৩][৪]

কাজীর পদ প্রত্যাখান ও মৃত্যু

৭৬৩ আব্বাসীয় বংশের আল-মনসুর আবু হানিফাকে রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেন কিন্তু স্বাধীনভাবে থাকার জন্য তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তার পরীবর্তে তার ছাত্র আবু ইউসুফকে প্রধান বিচারপতির দ্বায়িত দেওয়া হয়। প্রস্তাব প্রত্যাখানের ব্যাপারে আবু ইউসুফ আল মনসুরকে ব্যাখা দেন তিনি নিজেকে এই পদের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন না। আল-মনসুরের এই পদ প্রস্তাব দেওয়ার পেছেনে তার নিজস্ব কারণ ছিল, আবু হানিফা প্রস্তাব প্রত্যাখান করার পর মনসুর তাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেন। এই অভিযোগের ব্যাখ্যায় আবু হানিফা বলেন, “আমি যদি মিথ্যাবাদী হই তাহলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করার ব্যাপারে আমার মতামত সঠিক, কারণ কিভাবে আপনি প্রধান বিচারপতির পদে একজন মিথ্যাবাদিকে বসাবেন।” এই ব্যাখার উত্তরে আল-মনসুর আবু হানিফাকে গ্রেফতার করেন ও তাকে নির্যাতন করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। এমনকি বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিতেন কে তার সাথে দেখা করতে পারবে।
৭৬৭ সালে আবু হানিফা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার নয়। কেউ কেউ বলেন আবু হানিফা আল মনসুরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের চেষ্ঠা করেন এ জন্য তাকে জেলখানর ভেতর মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।[৮] এটা বলা হয়ে থাকে যে, আবু হানিফার জানাযায় অনেক লোক সমাগম হয়েছিল। ইতিহাসবিদ খাতিবের পক্ষে বলা হয় তার জন্য লোকজন মৃত্যুর ২০ দিন পর্যন্ত প্রার্থনা করেছিল। পরবর্তীতে, অনেক বছর পর বাগদাদের পাশে আধামিয়াতে আবু হানিফ মসজিদ নামে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয় আবু হানিফার নামে।
১৫০৮ সালে সাফাভি সম্রাজ্যের শাহ ইসমাইল আবু হানিফা ও আব্দুল কাদের জিলানীর মাজার এবং অন্যান্য সুন্নি নিদর্শন ধ্বংস করে দেন।[৯] ১৫৩৩ সালে উসমানীয়রা পুনরায় ইরাক দখল করে ও মাজারসহ অন্যান্য সুন্নি নিদর্শন পুনর্নির্মাণ করে।[১০]
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

২টি মন্তব্য:

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।