সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: অতিরিক্ত ডিওডোরেন্টে হতে পারে ক্যানসার

অতিরিক্ত ডিওডোরেন্টে হতে পারে ক্যানসার


ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারসপিরেন্ট পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। মানুষের চাহিদাকে সামনে রেখে পাওয়া যাচ্ছে নানারকমের ডিওডোরেন্ট। কিন্তু এই ডিওডোরেন্টের সবটাই কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি এবং খুবই টক্সিক বা ক্ষতিকারক। প্রতিদিন ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের কারণে ত্বক এই কেমিক্যাল শুষে নেয় ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন নিয়মিত ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের ফলে কি ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে:


বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা: সাধারণত ডিওডোরেন্টে প্রোপেলিন গ্লেকল (Propylene Glycol) নামের কম্পাউন্ড থাকে বলে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা হতে পারে। যেমন: গায়ে লাল গুটি দেখা যেতে পারে বা ত্বক জ্বালা করতে পারে। একই সঙ্গে এই কম্পাউন্ড নিউরোটক্সিক। ফলে আপনার সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। রোল অন বা স্টিক ডিওডোরেন্টে প্রোপেলিন গ্লেকলের মাত্রা বেশি থাকে।

অ্যালঝাইমারস ডিজিজ: অ্যান্টিপারসপিরেন্টের প্রধান উপদান হলো অ্যালুমিনিয়াম। এর ফলে হতে পারে ডিমনেশিয়া এবং অ্যালঝাইমারস ডিজিজ। বারবার ডিওডোরেন্টের গন্ধ শুকলে অ্যাজমাও হতে পারে।

হরমোনাল ইমবালেন্স: বেশিরভাগ ডিওডোরেন্টে প্রিজারভেটিভ হিসেবে প্যারাবেনস (Parabens) ব্যবহার করা হয়। এর ফলে শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স থেকে অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যা তৈরি হয় এবং মেয়েরা উপযুক্ত বয়েসের আগেই ঋতুমতী হয়ে যেতে পারে।

ঘাম গ্রন্থি বন্ধ করে দেয়: ডিওডোরেন্ট আর অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের ফলে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বহু ক্ষতিকারক টক্সিনস বেরিয়ে যায়। কিন্তু রোমকূপ বন্ধ থাকলে তা শরীরের ভিতর জমতে থাকে। এতে শরীরের কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ক্যানসারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।  


সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা 

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।