আজ
থেকে ৪৭ বছর আগের কথা। প্রথমবারের মতো সেকেণ্ডারি স্কুল সার্টিফিকট
(এসএসসি)পরীক্ষায় বসেছিলেন ভারতের শিবচরণ যাদব। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে নিজের
নামটি খুঁজে পেলেন না সে সময়ের টগবগে যুবক শিবচরণ। দমে যাননি। দ্বিতীয়বার আদাজল
খেয়ে নামলেন। ওমা! এবারও দেখি ভাগ্যদেবী বিমুখ! মনে ভীষণ জেদ চেপে বসল। প্রতীজ্ঞা
করে বসলেন যতদিন এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হবেন ততদিন বিয়ে করবেন না।
তখন
হয়ত শিবচরণ বুঝতে পারেননি এই প্রতীজ্ঞা তাকে বাকি জীবন একলাই কাটাতে বাধ্য করবে।
শুরু হয় তার পরীক্ষা পশের মিশন। কতদিন আর মুখ ফিরিয়ে রাখবেন দেবী। চেষ্টা চলতেই
থাকে। বাড়তে থাকে বয়সও। এখন শিবচরণের বয়স ৭৭ বছর। আজও দেবী মুখ তুলে তাকায়নি
বৃদ্ধের খাতায় নাম লেখানো সেদিনের সেই যুবক শিবচরণের দিকে। এবার ৪৭ তম বারের মতো
সেকেণ্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছেন তিনি। ভারতের জয়পুরের
বাসিন্দা শিবচরণ আসছে দশ তারিখ ৪৭ বারের মতো পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছেন। আর কদিন মাত্র
বাকী, এর মধ্যে চলছে দারুণ প্রস্তুতি। এই দীর্ঘ সময়ে সিলেবাস বদলেছে বহুবার।
বদলেছে বই। তাই প্রতিবারই নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে শিবচরণের। তবে এবার ভীষণ
আত্মবিশ্বাসী শিব। তিনি বলেন, আমি প্রথম এ পরীক্ষায় বসেছিলাম ১৯৬৮ সালে। কয়েকটি
বিষয় পাশ করলেও বাংলা, ইংরেজির মতো বিষয়গুলোই পুড়িয়ে মারছে। কিছুতেই যেন শনির দশা
কাটছে না। তবে এবার সবগুলো বিষয়ে পাশের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী শিব। গত ৩০ বছর ধরে
একা পূর্বপুরুষের ভিটায় কোন রকমে বেঁচে আছেন শিব। পাশ না করায় বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি।
বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন সরকার থেকে সামান্য। তাই দিয়ে একা মানুষটার কোন রকম চলে যায়
দিন।-টাইমস অব ইণ্ডিয়া
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।