করলা (করল্লা, উচ্ছা, উচ্ছে)
এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। ইংরেজিতে একে Balsam
pear, alligator pear, bitter gourd, bitter melon, bitter cucumber ইত্যাদি বলা হয়। করলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Momordica charantia যা Cucurbitaceae
পরিবারভুক্ত এক প্রকার
লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়া ওকিনাওয়ার আদি ভাষা থেকে উদ্ভূত 'গয়া' এবং সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত 'কারাভেলা' নাম
দুটিও ইংরেজি ভাষায় প্রচলিত। করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা
১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
করলা / করল্লা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Rosids |
বর্গ: | Cucurbitales |
পরিবার: | Cucurbitaceae |
গণ: | Momordica |
প্রজাতি: | M. charantia |
দ্বিপদী নাম | |
Momordica charantia Descourt. |
বর্ণননাঃ
করলা
তেতো স্বাদযুক্ত এবং এর শরীর কাঁটার মত ওয়ার্টে ভরা। পরিণত ফল লম্বাটে, রঙ
কাচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে কমলা বা লাল, দৈর্ঘ্য ১২-২৫ সেন্টিমিটার (৫-১০ ইঞ্চি), প্রস্থ
৫-৭ সেমি হয়ে থাকে। করলা কেটে লবন পানিতে ডুবিয়ে রেখে এর তিক্ততা কমানো যায়। দক্ষিণ
এশীয় এই সবজি এখন সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে ক্রান্তীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
করলা
গাছঃ
করলা
গাছ কিউকার্বিটেসি অর্থাৎ শশা পরিবারের সদস্য। এটি একবর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। একই
গাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল হয় (monoecious)।
বীজ
বপনঃ
করলার
বীজ এঁটেল মাটিতে ২.৫-৫ সেমি গভীরে এবং ৯০-১২০ সেমি দূরত্বে লাগাতে হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) পুষ্টিগত মান | |
---|---|
শক্তি | ৭৯ কিজু (১৯ kcal) |
4.32 g
| |
চিনি | 1.95 g |
খাদ্যে ফাইবার | 2 g |
0.18 g
| |
0.84 g
| |
ভিটামিনসমূহ | |
ভিটামিন এ সমতুল্য |
(1%)
6 μg
(1%)
68 μg
1323 μg
|
থায়ামিন (বি১) |
(4%)
0.051 mg |
রিবোফ্লাভিন (বি২) |
(4%)
0.053 mg |
ন্যায়েসেন (বি৪) |
(2%)
0.28 mg |
(4%)
0.193 mg | |
ভিটামিন বি৬ |
(3%)
0.041 mg |
ফোলেট (বি৯) |
(13%)
51 μg |
ভিটামিন সি |
(40%)
33 mg |
ভিটামিন ই |
(1%)
0.14 mg |
ভিটামিন কে |
(5%)
4.8 μg |
চিহ্ন ধাতুসমুহ | |
ক্যালসিয়াম |
(1%)
9 mg |
লোহা |
(3%)
0.38 mg |
ম্যাগনেসিয়াম |
(5%)
16 mg |
ম্যাঙ্গানিজ |
(4%)
0.086 mg |
ফসফরাস |
(5%)
36 mg |
পটাশিয়াম |
(7%)
319 mg |
সোডিয়াম |
(0%)
6 mg |
দস্তা |
(8%)
0.77 mg |
অন্যান্য উপাদানসমূহ | |
পানি | 93.95 g |
| |
Percentages are roughly approximated usingUS recommendations for adults. Source: USDA Nutrient Database |
উপকারিতাঃ
করলার
পুষ্টিগুণ অনেক। এলার্জি
প্রতিরোধে এর রস দারুণ উপকারি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উত্তম। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে
করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাতের ব্যাথায় নিয়মিত করলা রস
খেলে ব্যাথা আরোগ্য হয়। আর্য়ুবেদের মতে করলা কৃমিনাশক,
কফনাশক ও পিত্তনাশক। করলার
জীবানু নাশক ক্ষমতাও রয়েছে। ক্ষতস্থানের ওপর এর পাতার রসের প্রলেপ দিলে এবং উচ্ছে
গাছ সেদ্ধ পানি দিয়ে ক্ষত ধুয়ে দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যাবে। চর্মরোগেও
করলা বেশ উপকারী। এছাড়া জন্ডিস ও লিভারের অসুখে খাবারে অরুচি দেখা দিলে করলা খেলে
রুচি বর্ধক হয়।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।