স্বাদ, পুষ্টিগুণ
আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,
ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন—যা
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে, এটি
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের জন্য ভালো, পেটের
জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী।
ডায়াবেটিস রোধে
নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কারণ পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা
শরীরে চিনি শোষণ কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধে.
পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে
তা শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ
প্রতিরোধ করতে পারে।
দৃষ্টিশক্তির জন্য
পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।
ডায়রিয়া রোধে
পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে
পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটা। পেয়ারার আছে
ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
ক্যানসার প্রতিরোধী
ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা
কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন,
ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। নির্দিষ্ট করে
বললে, প্রোস্টেট ক্যানসার আর স্তন ক্যানসারের জন্য
পেয়ারা উপকারী।
পেয়ারার ১০টি পুষ্টিগুণ:
১. এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া
যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি।
২. পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স
২. পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স
৩. এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম,
ফসফরাস, পটাশিয়াম,
ফলিক অ্যাসিড ও নিকোট্রিন অ্যাসিড৷
৪. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কাজ দেয়।
৫. এটি রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদ্রোগে
আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন৷
৬. অ্যাজমা, স্কার্ভি, স্থূলতা,
ডায়াবেটিস, ক্যানসার
ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশ উপকারী৷৭. জটিল শর্করা ও তন্তুসমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
৮. শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় উপকারী।
৯. পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এই ফলের রস সর্দি-কাশি,
কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে পারে।
১০. বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ যেমন: স্মৃতিভ্রংশ (আলঝেইমার),
চোখে ছানি, আর্থরাইটিস
বা হাঁটুব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।