সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: করোনার প্রতিকার

করোনার প্রতিকার


করোনাভাইরাস  কি ?

করোনাভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণিকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ সর্দিকাশির ন্যায় মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন রাইনোভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি।

কোথা থেকে এলাে করােনাভাইরাস ? 

অনেক সময়ই কোন একটি প্রাণী থেকে এসে নতুন। নতুন ভাইরাস মানব শরীরে বাসা বাধতে শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা সাম্প্রতিক ভাইরাসটির। উৎস কোনাে প্রাণী। যতটুকু জানা যায়, মানুষের আক্রান্ত হবার ঘটনাটি ঘটেছে চীনের উহান শহরে সামুদ্রিক মাছ পাইকারি বিক্রি হয় এমন একটি বাজারে। করােনাভাইরাস ভাইরাস পরিবারে আছে তবে এ ধরণের ছয়টি ভাইরাস আগে পরিচিত থাকলেও এখন যেটিতে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ সেটি নতুন। বেশিরভাগ করােনাভাইরাসই বিপজ্জনক। নয়, কিন্তু আগে থেকে অপরিচিত এই নতুন ভাইরাসটি ভাইরাল নিউমােনিয়াকে মহামারির দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে এবং অবশেষে এই রােগটির সংক্রমণ বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ায় এটিকে বিশ্ব মহামারি ঘােষণা করেছে বিশ্ব। স্বাস্থ্য সংস্থা।

কোন প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে করােনাভাইরাস ? 

একবার যদি ভাইরাসের উৎস প্রাণীটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তাহলে রােগটি মােকাবেলা করা অনেক সহজ হয়। করােনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। চীনের উহানের দক্ষিণ সমুদ্রের খাবারের পাইকারি বাজারের সঙ্গে। যদিও বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণী। করােনাভাইরাস বহন করতে পারে (যেমন বেলুগা তিমি), ওই বাজারটিতে অনেক জীবন্ত প্রাণীও। পাওয়া যেত, যেমন মুরগি, বাদুর, খরগােশ, সাপএসব প্রাণী করােনাভাইরাসের উৎস হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, চীনের হর্সশু নামের একপ্রকার বাদুরের সঙ্গে এই ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।
কিভাবে ছড়ায় ? 

  • মূলত বাতাসের Air Droplet এর মাধ্যমে।
  • হাঁচি ও কাশির ফলে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে।
  • ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে মুখে নাকে বা চোখে লাগালে।
  • পয়নিস্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
প্রতিরোধ

>>>হােম কোয়ারান্টাইনে থাকা খুব বেশী প্রয়ােজন না হলে বাইরে না যাওয়া।
>>> জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
>>> যেকোন ধরণের অনুষ্ঠান বর্জন করা।
>>> বাইরে বের না হওয়া।
>>> ধুমপান একবারে বন্ধ করে দওয়া।
>>> বাইরের কারাে সাথে সাক্ষাৎ না করা।
>>> সাক্ষাতে করমর্দন কিংবা আলিঙ্গন না করা।
>>> বয়স্কদের দেখতে আসার জন্য আত্নীয়দের নিষেদ করা।
>>> বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত,পা,মুখ ভাল ভাবে ধােয়া।
>>> বিদেশ থেকে ফিরেছে এমন কারাে সাথে সাক্ষাৎ না করা।
>>> অকারণে নাকে মুখে হাত না দেওয়া।
>>> সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।
>>> ব্যবহৃত পােশাক নিয়মিত পরিষ্কার করা।
>>> বাচ্চাদের বাইরে বের না হতে দেওয়া।
>>> পাবলিক যানবাহন ব্যবহার না করা।
মনে রাখবেন,আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত। হয়েছেন বুঝতে আপনার সময় লাগতে পারে ২-১৪ দিন।তাই যত দিনে আপনি বুঝতে পারবেন ততদিনে আপনার মাধ্যমেই আপনার পরিবারের অন্যদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে যাবে। তাই অবহেলা নয়,গুরুত্ব দিন।
নিয়ম মেনে চলুন।

হাত কখন ধুতে হবে ?

>>> হাঁচি কাশি দেওয়ার পর।
>>> রােগীর সেবা করার পর।
>>> খাবার ও খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পরে। 
>>> টয়লেট করার পর।
>>> যখনই হাত ময়লা হবে।
>>> পশুপাখি কিংবা পশুপাখির মল স্পর্শ করার পর।

জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯)

যেকোনাে পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে জরুরি নম্বর হলাে ৯৯৯। এটি দেশের জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর। যেকোনাে দুর্ঘটনার মুখােমুখি হলে জরুরি সেবা পেতে দেশের যেকোনাে স্থান থেকে যে কেউ এই নম্বরে ফোন করতে পারেন।


স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩)


যেকোনাে সময় যে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এ সময় হয়তাে আপনি পরিচিত কোনাে চিকিৎসককে ফোন করে পাচ্ছেন না; আবার কারও কারও। পরিচিত কোনাে চিকিৎসক না-ও থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চিন্তে ফোন করা যাবে স্বাস্থ্য বাতায়নের হেল্পলাইন ১৬২৬৩ নম্বরে।




0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।