মস্কো, ৭ জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়ার করা বাগান ‘লাদা’ আরো বেশি সজীব-সবুজ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে শিগগিরই। বাগানটির সবুজ গাছেরা যাতে আরো ভালো আলো পায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এতোদিনের আলোর উৎস ছিল ফ্লুরোসেন্ট বাতি-টিউব লাইট। ওগুলোর বদলে এখন বদলে লাগানো হবে দীর্ঘস্থায়ী তাপ ও আলোক শক্তি ছড়িয়ে দিতে পারে এমন ‘ডায়োড’।
মহাকাশ বাগানটির এ সংস্কারে কানাকড়িও খরচ করবে না আমেরিকার মহাকাশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘নাসা’ কিংবা রাশিয়ার ‘কসমোকস’। রাশিয়ার বিজ্ঞান একাডেমি ও আমেরিকার উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে নতুন প্রাণ ফিরে পাবে মহাকাশ বাগান। মহাকাশে মানুষ চাইলেই ইচ্ছেমতো বাগান বিলাস করতে পারে না এখনো। মহাকাশে একমাত্র এ বাগানটি করা হয়েছে স্টেশনের ভেতরেই এবং অনেক ছোট্ট পরিসরে। রাশিয়ার বিজ্ঞান একাডেমির জৈবচিকিৎসা বিভাগের পরীক্ষাগার প্রধান ভ্লাদিমির সিচভ জানাচ্ছেন এর পেছনকার কারণ।
তিনি বললেন, ‘‘মহাকাশে প্রচুর গাছপালা তরুলতা নিয়ে বাগান করার পথে আপাতদৃষ্টিতে প্রধান বাধা মনে হবে মহাকাশ স্টেশনের স্বল্প আয়তনকে, কিন্তু তারও চেয়ে বড়ো বাধা হলো তাপ ও আলোক শক্তির অভাব।’’ তিনি জানান, ‘‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরির সময় আমাদের বিশেষজ্ঞরা এখানকার গ্রিন হাউসের জন্য ৬০ ওয়াট শক্তি বরাদ্দ রেখে নকশা করেছিলেন। মাত্র ৬০ ওয়াট- একটা গ্রিন হাউসের জন্য খুবই কম। এর মধ্যে মাত্র দুই বর্গমিটার জায়গা আমার বাগান করার জন্য পেয়েছি। হিসাব করলে দেখা যাবে যে এখানে, ছয়টা কড়াইশুটি, আটটা গম আর আটটা সালদা পাতার গাছ আছে। বাধ্য হয়েই আমাদের এটা করতে হয়েছে।’’ এখন আরো বেশি তাপ ও আলোক শক্তি যোগাতে কাজে লাগানো হবে কৃত্রিম সূর্য নামে খ্যাত ডায়োড রশ্মি।
বার্তা২৪ ডটনেট/এসএ/এমএ/জিসা
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।