বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বয়োবৃদ্ধিজনিত অনেক রকম সমস্যাই দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফ্রোজেন শোল্ডার। ডাক্তারি ভাষায় আরেক নাম পেরি আর্থ্রাইটিস বা ক্যাপ্সুলাইটিস। তা ছাড়া যারা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগেন, কাঁধে আঘাত পেলে বা কাঁধের মাংসপেশি মচকালে বা ছিঁড়ে গেলেও কাঁধে ব্যথা বা ফ্রোজেন শোল্ডার হতে পারে।
কিভাবে বুঝবেন ফ্রোজেন শোল্ডার হয়েছে : যদি দীর্ঘদিন কাঁধের বড় জোড়ায় এক পাশ অথবা দুই পাশেই একটু একটু করে ব্যথা হয়। * ব্যথা জোড়ার চারপাশে হতে পারে অথবা বাহুর পাশ দিয়ে নিচেও নামতে পারে। * যে পাশে সমস্যা হয়, সেদিকে কাৎ হয়ে শুলে যদি ওই হাত নাড়াতে কষ্ট হয়। * দৈনন্দিন কাজে হাত নড়াচড়া করতে যদি ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। * পিঠ চুলকাতে, ভাত খেতে, টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে যদি কাঁধের জোড়ায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। * এভাবে চলতে চলতে আস্তে আস্তে যদি জোড়ার নড়াচড়া ও কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে আসে।
চিকিৎসাঃ সাধারণত চিকিৎসকরা বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে থাকেন এবং পাশাপাশি স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন জোড়ার ভেতর প্রয়োগ করে থাকেন। যেহেতু ওষুধের পাশর্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, সে জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। এ ছাড়া ফিজিওথেরাপির মাধ্যমেও ফ্রোজেন শোল্ডারের চিকিৎসা করা যায়। ফ্রোজেন শোল্ডার সমস্যায় সাধারণত যেসব চিকিৎসা দেওয়া হয় তা হচ্ছে-আইএফটি, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন, ম্যানুপুলেশন প্রভৃতি।
ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান
চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৬৩০৬৯১৩
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।