সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: থিম, ওয়ালপেপার সেট করুন -উইন্ডোজ সেভেন

থিম, ওয়ালপেপার সেট করুন -উইন্ডোজ সেভেন


উইন্ডোজ সেভেন যে যে ক্ষেত্রে ইউজারের মনোযোগ আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে এদের মধ্যে একটি হল দৃষ্টি নন্দন থিমগুলো। সকল ইউজারই একবাক্যে মেনে নেবেন সেভেনের থিমগুলো সেরা। তবে নতুন ইউজারদের অনেকেই এ থিমগুলো পিসিতে সেট করতে পারে না। আজকে এ থিম, ওয়ালপেপার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

থিম সেট করাঃ
উইন্ডোজ সেভেনে থিমের কয়েকটি ক্যাটাগরি আছে। যেমন Aero Themes, Basic and High Contrast Themes
Aero Themes থিমগুলোই হল সেভেনের অরজিনাল আকর্ষনীয় থিম যা সবার পছন্দ। তবে থিমগুলো কম র‍্যাম যুক্ত পিসিকে স্লো করে। এগুলো ব্যবহার করার জন্য 1GB এর কাছাকাছি র‍্যাম হলে ভালভাবেই ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া Aero Themes ব্যবহার করলেই শুধুমাত্র Windows Color অপশনটা ব্যবহার করা যায়।

আর যাদের পিসি স্লো বা কম র‍্যাম আছে তাদের জন্য Basic and High Contrast Themes টাই উপযুক্ত। এতে  Windows Color অপশনটা নেই।

আসুন কিভাবে এই থিম সেট করতে হয় একটু  দেখে নিই। প্রথমে ডেস্কটপে রাইট ক্লিক করে Personalize এ ক্লিক করুন।


আপনার সামনে থিম সেট করার জন্য উইন্ডো খুলবে। যেকোন একটি থিমে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। Please Wait মেসেজ এসে চলে যাবে এবং আপনার থিম সেট হয়ে যাবে

Background/Walpaper: প্রতিটি থিমে আলাদা আলাদা Background আছে এবং একটি থিমের অধীনে অনেকগুলো Background/ছবি থাকে। পছন্দ হলে সেখান থেকে যেকোন একটি অথবা অন্য থিমের কোন ছবিকে Background হিসেবে সেট করতে পারেন। আবার নিজের পছন্দের কোন ছবিকে সেট করতে চায়লে তাও পারেন। আপনি যখন কোন থিম সেট করবেন তখন সেই থিমের অধীনে যে Background গুলো আছে তার সবগুলো অটোমেটিক সিলেক্ট হয়ে সেট হয়ে যায় এবং ৩০ মিনিট পর পর Backgroundগুলো একটা একটা করে বদলাতে থাকে। আপনি চায়লে এ সময় বাড়াতে কমাতেও পারেন। অনেকের এটি পছন্দ আবার অনেকের না। তবে এটি পিসিকে সামান্য হলেও স্লো করে এটা সত্য। তাই একটি ছবি সেট করাই ভাল।

উপরের নিয়মে থিম সেট করার পর Desktop Background বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে অনেকগুলো অপশন নিয়ে Background উইন্ডো আসবে।

ওখানে Picture Location, Select all, Clear all, Picture Position, Change Picture Every নামের অপশনগুলো পাবেন। কোনটার কি কাজ একটু দেখি।

Picture Location-উইন্ডোজের দেয়া ছবিগুলো যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে এ অপশনটির মাধ্যমে নিজের পছন্দমত ছবি যুক্ত করতে পারেন। এ জন্য Brows বাটনে ক্লিক করে পছন্দের ছবিগুলো যে ফোল্ডারে আছে সেই ফোল্ডারটি দেখিয়ে দিন। তাহলে ঐ ফোল্ডারে থাকা সব ছবি বর্তমানে একটিভ থিমের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

Select all-এটাতে ক্লিক করলে সব ছবি সিলেক্ট হবে এবং ৩০ মিনিট পর পর (কিংবা আপনার দেয়া সময় পর পর) ছবিগুলো বদলাতে থাকবে।

Clear all- এটাতে ক্লিক করলে সব ছবি ডি-সিলেক্ট হবে এবং ৩০ মিনিট পর পর বদলে যাওয়ার অপশনটা চলে যাবে। তখন পছন্দতমত যেকোন একটি ছবিকে ক্লিক করুন। তাহলে ওটা আপনার ওয়ালপেপার হিসেবে সেট হবে।

Picture Position-সেট করা ওয়ালপেপার বা বেকগ্রাউন্ডকে বিভিন্নভাবে সাজাতে এ অপশনটি ব্যবহার করা হয়। ওখানে Fill, Fit, Center সহ বেশ কয়েকটি অপশন আছে। একটা একটা দেখুন এবং পছন্দেরটা সিলেক্ট করে দিন।

Change Picture Every-অনেকগুলো ছবিকে ওয়ালপেপার হিসেবে সেট করলে কত সময় পর পর ছবিগুলো বদলাবে তা আপনি এখান থেকে নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। ডিফল্ট সময় থাকে ৩০ মিনিট। এখানে অনেকগুলো সময় দেয়া আছে।

সব কাজ করা হয়ে গেলে Save Changes বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার পছন্দ করা সব অপশন সেট হয়ে যাবে। আর যদি পছন্দ না হয় তাহলে Cancel দিন। এছাড়া আরো আছে Sounds, Screen Saver

Sounds-সাউন্ড হল উইন্ডোজ খোলার সময়, বন্ধের সময় এবং বিভিন্ন মেসেজের সময় যে ছোট সাউন্ড হয় তাই। এটি হুবহু এক্সপির মতই। নতুন কিছু নেই। তাছাড়া এখানে আকর্ষনীয় তেমন কিছু নয়।

Screen Saver-সেভেনের Screen Saver সেটিংসটা এক্সপির মতই। তবে Screen Saver গুলো ভিন্ন।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।