কিডনি রোগের মধ্যে নেফ্রোটিক সিনড্রোম, নেফ্রাইটিস, কিডনি বিকল, লুপাস নেফ্রাইটিস, জন্মগত এবং বংশগত কিডনি রোগ, কিডনি পাথরসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে। কিডনি বিকল দুই ধরনের হয়- আকস্মিক ও ধীরগতিতে কিডনি বিকল হতে পারে। কিডনি বিকলের অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে সচেতন হলে আকস্মিক কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন আমরা অনেকেই জানি না ডায়রিয়া থেকে পানিশূন্যতা হয়, যে কারণে আকস্মিকভাবে কিডনি বিকল হতে পারে।
তাই ডায়রিয়া হলে অবশ্যই প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাবার স্যালাইন খেতে হবে, যাতে পানিশূন্যতা না হয়। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণেও আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। তাই এন্টিবায়োটিক গ্রহণের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। এবারে আসা যাক ধীরগতিতে কিডনি বিকল প্রসঙ্গে। নীরব ঘাতকের মতো যখন কিডনির অর্ধেক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তখনই লক্ষণ ধরা পড়ে যেমন- খাওয়ায় অরুচি, দুর্বলতা, কিডনি বিকলের (Chronic Kidney Disease) প্রথম ও প্রধান কারণ। অথচ বাংলাদেশে কিডনির ইনফেকশন অর্থাৎ গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিসই ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণ। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, জন্মগত ও বংশগত কিডনি রোগ, Obstructive Uropathy অর্থাৎ কিডনি পাথরসহ বিভিন্ন কারণে ধীরগতিতে কিডনি বিকল হতে পারে। অনেক সময় গলাব্যথা, দাঁতব্যথা, খোস-পাঁচড়ার ব্যাপারে আমরা অবহেলা করে সময়মতো চিকিৎসা করি না, যা থেকে Post streptococcal Glomerulonephritis হতে পারে অথচ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রতিকার সম্ভব। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কিডনি বিকলের আশঙ্কা বেশি থাকে। আসলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং চিকিৎসা করলেই কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।
লেখকঃ ডা. সহেলী আহমেদ সুইটি
সহকারী অধ্যাপক,
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি।
ফোন: ০১৫৫৬৩২৭৭৭৩
সূত্রঃ বাংলাদেশপ্রতিদিন, ১৪ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।