দুর্ঘটনাবশত অথবা অজ্ঞতাবশত অথবা ভুল চিকিৎসার কারণে যদি স্থায়ী দাঁত পড়েযায় বা তুলে ফেলে দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে আবার ওই দাঁতের জায়গায় কৃত্রিমভাবেদাঁত স্থাপন করে ওই দাঁতকে কাজে লাগানো যায় বা আগের অবস্থায় ফেরত আনা যায়।আমরা তিনভাবে কৃত্রিম দাঁতকে স্থাপন করতে পারি। প্রথমত, Removable Dentune যা রোগী নিজে খুলতে ও মুখে পরতে পারে।দ্বিতীয়ত, Fixed Bridge যা পাশেরদাঁতের সাহায্য নিয়ে স্থায়ী করা হয়। এটা রোগী কর্তৃক খোলা সম্ভব হয় না।তৃতীয়ত, Dental Implant যা শুধু হারানো দাঁতটিই মাড়িতে স্থায়ীভাবে স্থাপনকরা হয়।এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে আমাদের দেশে সচরাচর যে পদ্ধতিটি ব্যবহৃতহচ্ছে তা হলো Removable Dentune যা রোগী কর্তৃক দন্তপাটি খোলা ও লাগানোযায়।
প্রথম জানা দরকার, কৃত্রিম দাঁত স্থাপন কেন প্রয়োজন : দাঁতের মাড়ি বাচোয়ালের গঠন ঠিক রাখার জন্য। খাবার চিবানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য। ভালোকরে কথা বলার জন্য। মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য। কিন্তু কৃত্রিমদাঁত স্থাপনের কারণে সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যা দেখা দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদিকিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে যেসব সমস্যা হয় তা হলো_ ১.কথা বলতেসমস্যা হয়।২.মুখ ভারী মনে হয়।৩.খেতে অসুবিধা হয়।৪.বমি ভাব এবংব্যথাহতে পারে। তবে এসব সমস্যার সমাধান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদিকৃত্রিম দাঁত ব্যবহারে যেসব সমস্যা বা জটিলতা হতে পারে তা হলো_ *যদি একটিবা দুটি কৃত্রিম দাঁত স্থাপন করা হয় সে ক্ষেত্রে পাশের সুস্থ দাঁতেরক্ষতিসাধন বা গর্ত সৃষ্টি করতে পারে।*কৃত্রিম দাঁতের প্লেটের নিচে লুকানোখাদ্যকণা ও জীবাণু সংলগ্ন জায়গাগুলোর মাড়ির ক্ষতি করতে পারে।*পাশেরসুস্থ স্থায়ী দাঁতকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদেরক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়।*অনেক সময় কৃত্রিম দন্তপাটি ঘুমের মধ্যে ভেঙেগলায় বা শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে যা জীবননাশের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।*আরেকটি সমস্যা হতে পারে _ কৃত্রিম দাঁতের দীর্ঘমেয়াদি আঘাতে বা ঘর্ষণেতালু, জিভ, পেশি ও মাড়িতে আলসার বা ঘা হয়।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।