সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: রাশিয়ার মুসলমান মহিলাদের সঙ্ঘ – কাজ করার সময় হয়েছে!

রাশিয়ার মুসলমান মহিলাদের সঙ্ঘ – কাজ করার সময় হয়েছে!



রাশিয়া প্রজাতন্ত্রে নতুন সামাজিক সংগঠন তৈরী হয়েছে – “রুশ মুসলমান মহিলা সঙ্ঘ”. দেশের আইন মন্ত্রণালয়ে তা সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে ও এবারে কাজ করতে শুরু করেছে. এই কথা উল্লেখ করে রেডিও রাশিয়ারসাংবাদিক প্রতিনিধিকে নতুন সঙ্ঘের সভাপতি নাইলা জিগানশিনা বলেছেন: আমরা এই ঘটনা বহুদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম. এবারে আমরা আইন সঙ্গত ভাবেই সারা রাশিয়া জুড়ে সামাজিক ভাবে সংজ্ঞাবহ প্রকল্প গুলির বাস্তবায়ন করতে পারবো. আজকের দিনে আমরা ইতিমধ্যেই দেশের ৪২টি এলাকায় কাজ করতে শুরু করেছি. আমরা সেই সমস্ত মহিলাদের, যাঁরা দয়া, দাক্ষিণ্য করতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত ও যাঁরা নিজেদের আত্মিক সম্পদ অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে তৈরী তাঁদের নিজেদের কাজের সঙ্গে জুড়ে নিতে চাই”.

রাশিয়াতে প্রথম মহিলা মুসলিম সংগঠনের উদ্ভব হয়েছিল একশরও বেশী বছর আগে: ১৯০৮ সালের জানুয়ারী মাসে বর্তমানের বাশকরতোস্তান রাজ্যের রাজধানী উফা শহরে একশ জনেরও বেশী মহিলা এঁরা ছিলেন সরকারি কর্মচারীদের, ধর্মীয় নেতাদের ও বিখ্যাত ব্যবসায়ীদের স্ত্রী ও কন্যারা যাঁরা সকলে মিলে এক মুসলিম দাতব্য প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছিলেন. রাশিয়ার মুসলিম মহিলা সঙ্ঘ”, একশ বছর পরে ঠিক করেছে সেই দাতব্য কাজ কর্মের ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করার. এই সঙ্ঘ একই সঙ্গে মুসলিম মহিলাদের কর্ম সংস্থান, প্রশিক্ষণ, উচ্চ শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ও অনাথ শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে. এই সব কাজই মহিলারা করতে পারেন বলে মনে করেছেন রাশিয়ার মুফতি সভার সভাপতি শেখ রাভিল গাইনুতদিন, যিনি সর্বাগ্রে এই মুসলিম মহিলা সঙ্ঘ তৈরীর ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন. তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন:

আমাদের মুসলিম মহিলারা আজ সামাজিক, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কর্মী বলেই স্বীকৃতী পেয়েছেন. তাঁরা খুবই সক্রিয়ভাবে জ্ঞানের প্রসারে নিয়োজিত রয়েছেন. তাই আমরা চাই যে, আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত মহিলা সংগঠন গুলি তাদের সকলের শক্তি একত্রিত করে আমাদের সমাজকেই যাতে একজোট করে. একসঙ্গে আমাদের সুবিধা হবে সেই সমস্ত লোকদের বাধা দিতে, যারা চায় মুসলিম পুরুষ ও মহিলাদের সম্বন্ধে ভাল ধারণা নষ্ট করতে”. রাশিয়ার মুসলিম মহিলা সঙ্ঘের আগামী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে মুসলিম জাতীয় পোষাকের উত্সব করা. তাতে অংশ নেবেন যেমন রুশ তেমনই বিদেশী পোষাক নির্মাতারা. এই বিষয়ে নাইলা জিগানশিনা বলেছেন:  “আজকের দিন অবধি আমাদের কাছে আবেদন পত্র পৌঁছেছে সংযুক্ত আরব আমীরশাহী, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, তুরস্ক, এস্তোনিয়া ও কাজাখস্থান থেকে. একটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল: আমরা শুধু তা নিয়েই সন্তুষ্ট হবো না, যা আমাদের ডিজাইনাররা দেখাবেন, আমরা নিজেদের উপরে দায়িত্ব অর্পণ করব সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ানোর যে কি করে ঐতিহ্য মেনে নির্দিষ্ট শৈলীর পোষাক বানানো সম্ভব হয়. এই ব্যাপার শেখানোর জন্য মাস্টার ক্লাসের আয়োজন করা হবে”.

রাশিয়ার মুসলিম মহিলা সঙ্ঘেরপ্রথম বিদেশী অতিথি হয়েছেন মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জনাবা আদল্যান. তাঁর সঙ্গে নাইলা জিগানশিনা পরিচিত হয়েছিলেন সৌদি আরবে, গত বছরেই: তখন রাশিয়ার মুসলিম মহিলা সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মীদের ওমরাহ্ পালন করার সময়ে সৌদি আরবের মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাত্কার আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন পরিবার কেন্দ্র ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের সঙ্গে. আগামী কাল ২রা মার্চ, সৌদি আরবের অতিথির জন্য অপেক্ষা করা হবে কাজান শহরে তাতারস্থান রাজ্যের রাজধানীতে, রাশিয়ার বড় একটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাতে, এই বিষয় নিয়ে নাইলা জিগানশিনা বলেছেন:  “সম্মিলিত ভাবে দাতব্য বিষয়ক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে. আমরা তাঁর জন্য এমন সফর পরিকল্পনা করেছি, যাতে তিনি তাতারস্থানের মহিলাদের সঙ্গে, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে, আমাদের শহরের সাথে পরিচিত হতে পারেন, কারণ তিনি আসছেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ই মার্চের আগে. আমরা একটা গোল টেবিলের আয়োজন করেছি মায়েদের পায়ের তলায় বেহস্তনামে”. অন্যদের কাছ থেকে সব ভালকে গ্রহণ করা এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া – “রাশিয়ার মুসলিম মহিলা সঙ্ঘনামের নতুন এই সামাজিক সংগঠনের একটি কাজ করার নীতি.

সূত্রঃ রেডিও রাশিয়া, ০১ মার্চ ২০১৩ ইং

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।