সস্তা হলেও কলার পুষ্টিমান অনেক বেশি। ছয়
মাস বয়স থেকে বৃদ্ধ—সবার জন্যই এটি উপকারী। সব কলাতেই সমপরিমাণ
পুষ্টিমান আছে। পাকা কলায় শর্করার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। এটি সরল শর্করা, অর্থাৎ সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ হিসেবে থাকে বলে সহজেই হজম হয়ে যায়। তবে শর্করা
বেশি থাকার কারণে ডায়াবেটিস ও ওজনাধিক্য আছে, এমন রোগীদের খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়াই ভালো।
পাকা কলায় রয়েছে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি। আছে
অন্যান্য খনিজ এবং যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার। ১০০ গ্রাম কলায় রয়েছে ১০০ ক্যালরি
শক্তি। আমিষ আছে ১ দশমিক ৬ গ্রাম। একটি কলায় আছে ৪৬৭ গ্রাম পটাসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ, রক্তনালির রোগ ও
হূদেরাগ প্রতিরোধে ভূমিকা
রাখে। কলায় আরও কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যেমন ট্রিপটোফেন, সেরোটোনিন ও নন-এপিনেফ্রিন, যা বিষণ্নতা দূর করে ও মনকে প্রশান্তি দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও
ভূমিকা রাখে কলা। আবার ডায়রিয়ায়ও এটি উপকারী। কেননা, পাকা কলা অন্ত্রে বিউটেরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ডা. আরাফাত মাহমুদ
খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।