মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর
সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় যৌন হামলার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়াটা মর্মান্তিক
বিষয়। ২০১২ সালে ওয়ার্কপ্লেস অ্যান্ড জেন্ডার রিলেশন্স সার্ভে অব অ্যাকটিভ ডিউটি
মেম্বার (ডব্লিউজিআরএ)’এর হিসেবে, কেবল গত বছরই সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ২৬ হাজার
দায়িত্বরত সদস্য যৌন হামলার শিকার হয়েছেন। অধিকন্তু, যৌন হামলা প্রতিরোধের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই ওই
অপরাধে জড়িত থাকার সাম্প্রতিক অভিযোগের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে বলা
যায়, যা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল
মার্টিন ডেম্পসের ভাষায় মার্কিন সামরিক বাহিনী এখন স্পষ্টতই ‘সঙ্কট’ মোকাবিলা করছে। খবর ফরেন পলিসি
ম্যাগাজিন ।
বিমান বাহিনী চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক ওয়েলশ ঘোষণা
করেছেন, সমস্যাটির প্রতিরোধ করা হবে তার ‘প্রথম অগ্রাধিকার’। সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল রে
ওডিয়ার্নো আরো এগিয়ে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী যৌন
হামলা ও যৌন হয়রানি মোকাবিলায় ব্যর্থ হচ্ছে।’ তিনি জানিয়েছেন, এখন ‘আমাদের প্রধান
মিশন’ এই অপরাধটি দমন করা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হ্যাগেল তার
দুই পূর্ববর্তীর দাবি পুনরাবৃত্তি করে যৌন হামলার জটিল সমস্যাটির সমাধানের সংকল্প
ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি ‘সব বিকল্প বিবেচনা করছেন।’ অভ্যন্তরীণ সংস্কার সত্ত্বেও ২০১০ সালে
অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী জরিপের পর সামরিক বাহিনীর মধ্যে ‘অনাকাঙ্খিত যৌন সম্পর্ক’ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে যৌন হামলা প্রতিরোধের
জন্য বিশেষভাবে তৈরি পেন্টাগন ও সার্ভিস ওয়েবসাইটগুলোতে নতুন নতুন নির্দেশনা, স্মারক, নীতি, সতর্কতা ইত্যাদি
বিপুল সংখ্যায় দেওয়ার পরও কেন কাজের কাজ কিছুই হয়নি, তা বোধগম্য হওয়া কঠিন। ‘প্রটেক্ট আওয়ার ডিফেন্ডার’-এর সভাপতি ন্যান্সি প্যারিশ এসব
প্রয়াসকে ‘আগ্রহশূন্য, অপর্যাপ্ত সংস্কার কর্মসূচি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সামরিক বাহিনীতে যৌন হামলার ঘটনায় সাম্প্রতিক তীব্র সমালোচনা
হওয়াটা প্রশংসনীয় বিষয়। তবে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, এসবের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। কারণ এটা
কেবল সামরিক বাহিনীর সমস্যা নয়। এটা ‘আমেরিকান’ সমস্যা। বিশেষজ্ঞ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং অন্যরা দীর্ঘ দিন ধরেই আমেরিকান সমাজের
নিঃশব্দ সামরিকরণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছিলেন। পেন্টাগন তার যৌন
হামলা প্রতিরোধক চেষ্টা নতুন করে মূল্যায়ন শুরু করেছে। তবে যৌন হামলা দমন করতে
গিয়ে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর সামাজিকরণ হ্রাস করা ঠিক হবে না।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গড়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন করে সামরিক বাহিনীর সদস্য
যৌন আক্রমণের শিকার হন। আর প্রতি দুই মিনিটে একজন করে আমেরিকান নাগরিক যৌন হামলার
শিকার হন। অবশ্য সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক বাহিনীর মধ্যে যৌন আক্রমণের হার নিয়ে
সরাসরি তুলনা করা ঠিক হবে না। ডব্লিউজিআরএ ‘অনাকাঙ্খিত যৌন সম্পর্ক’ সংজ্ঞায়িত করেছে ‘পূর্ণাঙ্গ যৌন সংযোগ স্থাপন করা বা তা করার
চেষ্টা চালানো, পায়ুকাম (মুখ কিংবা পায়ু দিয়ে), কোনো বস্তুর মাধ্যমে বলপূর্বক প্রবেশ, যৌন অঙ্গ বা দেহের অন্য কোনো যৌন-সংশ্লিষ্ট স্থানে
অনাকাঙ্খিত স্পর্শ’কে। জরিপে
অংশগ্রহণকারীদের গত ১২ মাসে সংগঠিত ঘটনার বিবরণ দিতে বলা হয়েছিল। ইতোমধ্যে, দেশব্যাপী পরিচালিত আইন মন্ত্রণালয়ের যৌন হামলা-সংক্রান্ত
জরিপে জানতে চাওয়া হয় গত ছয় মাসের মধ্যে তাদের কেউ ‘হামলার শিকার’ হয়েছে কি না কিংবা ‘জড়িয়ে ধরা, চেপে ধরা বা টেনে
ধরার’ মাধ্যমে কেউ তাদেরকে ‘হুমকি’ দিয়েছে কী না বা ‘কোনো ধরণের ধর্ষণের শিকার বা ধর্ষণচেষ্টা বা অন্য কোনো ধরণের
যৌনকাজের শিকার’ হয়েছে কী না। যৌন সহিংসতা প্রতিরোধমূলক সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড
প্রিভেনশনের অতি সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ৫.৩ শতাংশ ইংরেজি অথবা স্প্যানিশভাষী ১৮ বা এর ঊর্ধের নারী, যারা প্রাতিষ্ঠানিক বা সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত নয়, অনাকাঙ্খিত যৌন সম্পর্কের শিকার হয়েছেন। তাদের অনেকে
ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ৪.৯ শতাংশ পুরুষ বিভিন্ন ধরণের (ধর্ষণ
নয়) যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। (দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ধর্ষণের সংখ্যা অনুমান করার ক্ষেত্রে পুরুষদের নমুনা
সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম নেওয়া হয়েছে। এতে এটা মনে করার কারণ নেই যে, তাদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার সংখ্যা কম। বরং এটাই হওয়ার
সম্ভাবনাই বেশি যে তারা কম প্রকাশ করে।)
গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যৌন
সহিংসতা হ্রাস পেলেও এতে স্বস্তি পাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেকোনো কারণেই হোক না
কেন, বিশেষ করে ঘটনার সংখ্যা যখন আতঙ্কিত
হওয়ার মতো বেশিই রয়ে গেছে। সামরিক বাহিনীর মধ্যে ২০১২ সালে ৬ দশমিক ১ শতাংশ নারী
সদস্য এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ সদস্য অনাকাঙ্খিত যৌন সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন।
এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি মারাত্মক সঙ্কট, বিশেষ করে সিডিসির ভয়াবহ তথ্যটি বিবেচনায় রাখলে, ‘১৩ শতাংশ নারী ও ৬
শতাংশ পুরুষ তাদের জীবদ্দশায় যৌন-সংশ্লিষ্ট পীড়নের শিকার হন।’ এই অপরাধের দায়ভার আমেরিকান সমাজের উপর
চাপিয়ে দেওয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের চেষ্টা বোধগম্যভাবেই বিশ্রি ব্যাপারে পরিণত
হয়েছে। ৭ মে সিনেট সশস্ত্র বাহিনী কমিটিতে শুনানিকালে জেনারেল ওয়েলশ সামরিক
বাহিনীতে যৌন আক্রমণের আশঙ্কাজনক হারের জন্য আংশিকভাবে মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের
মধ্যে বিরাজমান মানসিকতাকে দায়ী করেন। এই মন্তব্যের জন্য তিনি পরে ক্ষমা
প্রার্থনা করে বলেছিলেন, তার উচিত ছিল
বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য আরো সময় নেওয়া। তিনি বলেন, আমাদের বিমান বাহিনীতে যেদিন নিয়োগপ্রাপ্ত হবে, সেদিন থেকেই তাদের মধ্যে প্রতিটি ব্যক্তির প্রতি
শ্রদ্ধা, দায়িত্বশীলতা, বৈচিত্র, মূল্যবোধ প্রদর্শনের ধারণা ছড়িয়ে দিতে হবে। অবশ্য ওয়েলশ একটা বিষয় ভালোভাবেই নজরে এনেছেন : কেউই
একেবারে ফাঁকা মন নিয়ে সামরিক বাহিনীতে প্রবেশ করে না। সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ
প্রাপ্ত হওয়ার আগে অন্তত ১৭ বছর তারা বিরাজমান সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত থাকে। বিষয়টা
বোঝার জন্য টেলিভিশনের কয়েকটি চ্যানেল ঘোরানো বা কয়েক মিনিট ইন্টারনেট সার্ফিংই
যথেষ্ট। ঠিক এমন কথাই বলেছেন ভ্যানডেন ব্রুক ও গ্রেগ জোরোয়া। তারা তাদের
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর পুরুষ সদস্যরা (বাহিনীতে তাদের সংখ্যা ৮৫ শতাংশ) এমন
এক সমাজ থেকে আসে, যেখানে ‘সহিংসতা এবং নারী ভাবনা প্রধান উপাদান।’
আমেরিকান নারীরা এমন সমাজে জন্মগ্রহণ করে, যেখানে তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সৌন্দর্যের ‘গুরুত্ব’ এবং যৌনতার উপর বেশ জোর দেওয়া হয়। জেন্ডার সাম্যের ক্ষেত্রে বিপুল অগ্রগতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখনো যৌনতা প্রবল প্রতাপে বহাল রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিতে বিষয়টা গভীরভাবে গেঁথে থাকায় অনেক সময়ই তা নজরে পড়ে না। ‘আমেরিকান আধুনিক সমাজ জেন্ডার সাম্য অর্জন করে ফেলেছে মনে করায় এখানে নারী-বিষয়ক সংস্কার, সাম্য ও নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা ক্রমাগতভাবে কঠিন হয়ে পড়েছে,’ জানিয়েছেন লরা বেটস। তিনি এভরি সেক্সিজম প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা। এই প্রতিষ্ঠানটির নারীরা যৌন-সংশ্লিষ্ট যেসব সমস্যায় পড়ে, সেগুলো দূর করতে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। অথচ বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র জেন্ডার সাম্যের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে : গত বছর জেন্ডার ইনেকোয়ালিটি ইনডেক্সে- যাতে প্রজনন স্বাস্থ্য, রাজনৈতিক ও শিক্ষাগত ক্ষমতায়ন, শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলোতে সংখ্যার হিসাব ও বিশ্লেষণ করা হয়- দেশটির অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে। অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি সত্ত্বেও আমেরিকান সংস্কৃতি এখনো খোলাখুলিভাবেই যৌনতা ভারাক্রান্ত এবং ক্রমবর্ধমান হারে যৌনতায় আক্রান্ত সমাজে পরিণত হয়েছে। ডিজনি প্রিন্সেস মুভিগুলোতে, যা এখনো বেশির ভাগ আমেরিকান বালিকার শৈশবের অবলম্বন, এই বার্তাই দেওয়া হয় যে, সৌন্দর্য ও যৌনতাই ‘সুখে-শান্তিতে জীবন কাটানোর’ চাবিকাঠি। সঙ্গীত শিল্পতেও একই চিত্র দেখা যায়। সিন্থিয়া ফ্রিসবি ও জেনিফার আওব্রে পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, নারী শিল্পীরা বেশি বেশি করে তাদের পণ্য প্রচারের জন্য যৌন উপমা ব্যবহার করছেন। তাদের মতে, এর ফলে ‘তরুণ ভক্তরা হয়তো মনে করতে পারে, সমাজে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার লাগসই পন্থা হলো যৌন আকর্ষণীয় বস্তুতে পরিণত হওয়া।’ লিভিং ডলসের লেখিকা নাতাশা ওয়াল্টার লিখেছেন, এতে করে নারীরা ক্ষমতায়নকে যৌন পণ্যে পরিণত হওয়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। সন্দেহ নেই যে পুরুষেরাও ক্ষমতাবান, শক্তিশালী ও ‘পুরুষোচিত’ হওয়ার বিপুল সামাজিক প্রত্যাশার মুখোমুখি হচ্ছে। নারী-বিষয়ক সংস্কার স্পষ্টতই আরো তীর্যক আকারে দেখা যাচ্ছে। এই মাত্র গত সপ্তাহান্তেই রেডিও হোস্ট পিট স্যানটিলি অসতর্কভাবে মন্তব্য করে ফেলেন, হিলারি ক্লিনটনের উচিত নিতম্বে রঙিন কাপড় পরা। এই অশ্লীল লিঙ্গ-ভিত্তিক ভাষা ছিল সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য মর্যাদাহানিকর এবং হুমকি সৃষ্টিকারী। বছর খানেক আগে প্রায় একইভাবে এমন ধরণের মন্তব্য করেছিলেন রাশ লিম্বাউ। তিনি গর্বিতভাবে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্রী সান্দ্রা ফ্লাককে ‘নোংরা’ ও ‘পতিতা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ওই ছাত্রীর অপরাধ ছিল এই যে, তিনি মনে করেছিলেন, স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানিগুলোর উচিত গর্ভনিরোধক সামগ্রীর ব্যয় মেটানো। কর্তব্যরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উচিত প্রকাশ্যভাবে এবং বারবার নারী-বিষয়ক সংস্কার এবং সমাজে সয়লাব হয়ে থাকা যৌন হামলার নিন্দা করা, ঠিক যেভাবে তারা প্রায়ই বাহিনীতে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি সরবরাহে সামাজিক প্রবণতার নেতিবাচক প্রভাবের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে থাকেন। তারা যেভাবে উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদের পাশের হার এবং স্থূলতা নিয়ে কথা বলেন, দেখুন ২০১২ সালের ‘টু ফ্যাট টু ফাইট’ জরিপে, সেভাবে বলতে হবে। শিক্ষা বা ফিটনেসের অভাবকে যদি সুস্পষ্টভাবে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে, তবে যৌন সহিংসতাকেও ওই বিবেচনায় রাখতে হবে।
গত সপ্তাহে পেন্টাগনের প্রেস
সেক্রেটারি জর্জ লিটল বলেছেন, ‘এটা আমার অভিমত, এবং আমি বিশ্বাস করি, মন্ত্রীর অবস্থানটি অবশিষ্ট সমাজের সঙ্গে আমাদের তুলনা করার জন্য
যথেষ্ট নয়। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়। স্পষ্টভাবেই বলা যেতে পারে, আমাদের হার যদি বাকি সমাজের মতোই হয়, তবে সেটা সত্যিকার অর্থে কোনো ব্যাপারই নয়। আমাদেরকে অবশ্যই উচ্চতর
মানদণ্ড সমুন্নত রাখার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে এবং আমেরিকান জনগণ সেটাই চায়।’ বিষয়টা হয়তো এমনই। কিন্তু পুরো সমাজের মানদণ্ড উন্নতি না করে
কিভাবে কার্যকরভাবে সমস্যাটির সমাধান করা যায়? আপনি যদি যেকোনো সময় কোনো চৌকি বা ঘাঁটিতে যান, সেনাসদর কিংবা ন্যাশনাল গার্ডের স্থাপনার চেয়ে অনেক কম
সুবিধা-সম্বলিত, দেখবেন যে সামরিক বাহিনী আমেরিকান
সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নও নয়, নিঃসঙ্গও নয়।
তেমনটা থাকাও উচিত নয়। যৌন হামলাজনিত সঙ্কটটিকে যদি স্রেফ একটি সামরিক সমস্যা
বিবেচনা করে জাতীয় ক্ষতটিতে তাড়াহুড়া করে কোনো কিছুর প্রলেপ দিয়ে সারিয়ে
তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে আরোগ্যের আশা
বৃথা হবে। এমনকি সবচেয়ে ব্যাপকভিত্তিক সামরিক সংস্কারেও সাফল্য আসবে না।
নীতিনির্ধারক ও সামরিক কর্মকর্তারা যদি সামরিক বাহিনীতে যৌন সহিংসতার সংস্কৃতিকে
নির্মূল করার দৃঢ় প্রত্যয়ে অটল থাকেন, তবে তাদেরকে অবশ্যই মূল কারণকে মোকাবিলা করতে হবে। শুক্রবার হ্যাগেল ঘোষণা করেছেন, ‘এর অবসান ঘটাতে
আমরা সবাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সমস্যাটি রুখে দেব। এই প্রতিষ্ঠানে সমস্যাটির সমাধান
হবে।’ না, মন্ত্রী মহোদয়, পারবেন না।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।