সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: দ্য রিডিমার

দ্য রিডিমার



Christ the Redeemer, Brazil এর Rio deJaneiro তে অবস্থিত যীশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি। দাঁড়ানো এই মূর্তিটি ৩৯.৬ মিটার (৩০ ফুট) লম্বা, ওজন ৭০০ টন এবং এটি তিজুকা ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে শহরকে আড়াল করে রাখা ৭০০ মি. (২,২৯৬ ফুট) উচ্চতার করকোভাদু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ২০০৭ সালে বিশ্বের মানুষের ভোটে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার নির্বাচিত হয় নতুন সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য হিসেবে।
পাহাড়ের চূড়ায় দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছেন যিশু। করকোভাদো পাহাড়টির উচ্চতা ৭১৩ মিটার বা ২৩৪০ ফুট। যেতে হয় সড়কপথে নয়তো কেবল রেলে চড়ে। মূর্তিটি তৈরি করেছেন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি। ১৯২১ সালে তাকে মূর্তিটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের প্রথম শতবার্ষিকী উদযাপন। ১৯৩১ সালে শেষ হয় এর নির্মাণ কাজ। গ্রানাইটের তৈরি এ মূর্তিটি ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট উঁচু। যে বেদিটির ওপর মূর্তিটি স্থাপন করা হয় তারই উচ্চতা ৬ মিটার বা ২০ ফুট। এ মূর্তিটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন যিশু তার দুই হাত প্রসারিত করে শহরটিকে আলিঙ্গন করছেন। পাহাড় আর পানি দিয়ে ঘেরা রিও ডি জেনিরো শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

যিশু খ্রিস্ট যেমন খ্রিস্টধর্মের প্রতীক, এ মূর্তিটিও তেমনি রিও এবং ব্রাজিলের প্রতীক। জানা যায়, ১৮৫০ সালে একবার করকোভাদো পাহাড়ের ওপর যিশু মূর্তি তৈরির প্রস্তাব এলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এরপরও ১৯২২ সালের ২২ এপ্রিল ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এক প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে স্থানীয় প্রকৌশলী হেইটর ডা. সিলভা কস্টার প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে। লম্বা সময় ধরে তহবিল সংগ্রহের পর ১৯২৭ সালে এর আনুষ্ঠানিক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৩১ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত করা হয় ১২ অক্টোবর (১৯৩১)।



সূত্রঃ বাংলাদেম প্রতিদিন, ১৮-০৭-২০১৩

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।