ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন
নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা
উপত্যকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ
প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, ইসরাইল মঙ্গলবার থেকে গাজায় এক
হাজারেরও বেশি ল্যবস্তুতে হামলা করেছে এবং ২০১২ সালে চালানো অভিযানে যে শক্তি
ব্যবহার করা হয়েছিল তা দ্বিতীয়বারের মতো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবিসি ও আলজাজিরা।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরাইলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত
১২৪ জন নিহত হয়েছেন। হামাস
যোদ্ধারাও গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। এতে ইসরাইলের কেউ নিহত হয়নি, তবে য়তি ও লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া
গেছে। শুক্রবার রাতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর
এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযান
শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইল ভূখণ্ড ল করে প্রায় ৫২০ বার মর্টার ও
রকেট হামলা চালায়।
নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের সাথে টেলিফোনে তার ‘খুবই ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো আন্তর্জাতিক চাপই আমাদেরকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
ইসরাইল বারবার বলে আসছে, তারা বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা এড়ানোর
চেষ্টা করছে। তবে তারা এ-ও দাবি করছে যে ফিলিস্তিনি
যোদ্ধারা প্রায়ই আবাসিক এলাকাগুলোতে তাদের ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান নেয়। নেতানিয়াহুকে ফোন করার পর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ২০১২ সালের নভেম্বরের অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে প্রত্যাবর্তনসহ
বৈরিতা হ্রাসে সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। মিসর ও তুরস্ক ইসরাইলের শক্তি প্রয়োগের সমালোচনা করেছে।
গাজা উপত্যকায় শনিবার ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এনিয়ে পাঁচ দিনের ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্র এ কথা জানায়। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রা জানান, গাজা সিটির পার্শ্ববর্তী তুফাহর পূর্বাঞ্চলে সর্বশেষ হামলায় তিনজন নিহত হয়।
গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লহিয়ায় প্রতিবন্ধী দাতব্য চিকিৎসালয়ে হামলায় দুই মহিলাসহ চারজন নিহত হওয়ার পরপরই এ অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে এক বিমান হামলায় আরো তিনজন নিহত হয়। এর আগে কুদ্রা আটজন নিহত হওয়ার কথা জানান। এদের মধ্যে আগের বিমান হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি রয়েছেন। অপর সাতজনের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ায় পাঁচজন এবং দিয়ার এল বালায় দু’জন নিহত হয়। স্থানীয় কর্মকর্তরা জানান, শনিবার সকালে হামাস কর্মকর্তার ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন মসজিদসহ উপকূলীয় এলাকা ল্য করে এসব বিমান হামলা চালানো হয়।
সূত্রঃ
নয়াদিগন্ত, ১৩ জুলাই ২০১৪খ্রিঃ
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।