সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়



ডায়াবেটিসের রোগীরা খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধপথ্যের নিখুঁত সময়সূচি ও নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলেন। তাই রমজান মাসে তাঁদের দৈনন্দিন সময়সূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়। খাবারের নতুন সময়সূচির সঙ্গে পরিবর্তিত হয় ওষুধ বা ইনসুলিনের মাত্রা ও সময়। তাই রমজান এলে ডায়াবেটিসের রোগীরা নানা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। সেই সঙ্গে রয়েছে নানা প্রশ্ন।


সব ডায়াবেটিসের রোগী কি রোজা করতে পারবেন?
কিছু কিছু রোগীর জন্য রোজা রাখা অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন: টাইপ ১ ডায়াবেটিক ও গর্ভবতী ডায়াবেটিসের রোগী, যাঁরা দিনে তিন বা ততোধিকবার ইনসুলিন গ্রহণ করেন, যাঁদের কিডনি, যকৃৎ, হৃদ্যন্ত্র বা অন্যান্য জটিলতা আছে বা ডায়ালাইসিস করেন, যাঁদের ঘন ঘন শর্করা-স্বল্পতা হয়, যাঁদের বিগত তিন মাসের মধ্যে মারাত্মক শর্করা-স্বল্পতা ও শর্করার আধিক্যের কারণে কোমা হয়েছে ইত্যাদি। এ ছাড়া যাঁরা ইনসুলিন বা ইনসুলিনবর্ধক ওষুধ খান, তাঁদের কিছুটা ঝুঁকি রয়েই যায়। এসব জটিলতা না থাকলে ডায়াবেটিসের রোগীরা একটু সতর্কতার সঙ্গে অনায়াসেই রোজা করতে পারবেন। লক্ষ রাখবেন, রমজানে চার ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা, শর্করা-স্বল্পতা, শর্করার আধিক্য ও প্রস্রাবে কিটোন নির্গত হওয়া।

রোজায় কি রক্তে শর্করা মাপা উচিত?
অবশ্যই রমজান মাসে ঘন ঘন রক্তে শর্করা মাপা উচিত। বিশ্বের বড় বড় আলেম মত দিয়েছেন যে গ্লুকোমিটার যন্ত্রের ব্যবহারে রোজা ভাঙে না। প্রথম কয়েক দিন বিকেলের দিকে ইফতারের পূর্বে ও ইফতারের দুই ঘণ্টা পর শর্করা মাপুন। এটি ওষুধের নতুন মাত্রা নিরূপণে সাহায্য করবে।

রোজা রেখে ব্যায়াম করা যায়?
দীর্ঘ ও গরমের এই দিনে রোজা রেখে দিনের বেলা ব্যায়াম না করাই উচিত। এতে পানিশূন্যতা ও শর্করা-স্বল্পতার ঝুঁকি বাড়বে। তারাবির নামাজকে ব্যায়াম হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

রোজায় খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে?
সেহ্রি খাওয়াটা আবশ্যক। সেহ্রিতে জটিল শর্করা, আমিষসহ একটি পূর্ণাঙ্গ খাবার খেতে হবে। ইফতারে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাজাপোড়া খাবারও এড়িয়ে জটিল শর্করা ও আমিষজাতীয় খাবার বেশি রাখুন। সন্ধ্যারাতে রুটি খাওয়া যেতে পারে।

ওষুধের নিয়মকানুন
ওষুধ বা ইনসুলিনের নতুন মাত্রা ও সময়সূচি নির্ধারণে রোজার আগে বা শুরুতেই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।




অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ
বারডেম হাসপাতাল

সূত্রঃ প্রথম আলো, ১০ জুলাই ২০১৪খ্রিঃ

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।