যাত্রাপথে বমি অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং কষ্টদায়ক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে
এটি বংশগত হয়ে থাকে। কারও বাসে, কারও প্রাইভেট কারে, কারও যে কোনো যানবাহনে। যার কষ্ট সেই বোঝে। ঈদে ভ্রমণকে আনন্দদায়ক
করতে যারা যানবাহনে বমি করেন তাদের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো_
যাত্রার আগেঃ
যাত্রার আগে ভারী এবং সুগন্ধযুক্ত খাবার পরিহার
করুন। ভ্রমণের দুই-তিন ঘণ্টা আগে আহার শেষ করতে পারলে ভালো। শুকনো খাবারবমির মাত্রা কমায়।
যাত্রাপথেঃ
বিমানে ভ্রমণে পাখা বরাবর সিটে বসুন। বাসে ভ্রমণের ক্ষেত্রে
সামনের সিটে বসুন। সব সময় সামনের দিকে তাকান। জানালা দিয়ে দ্রুতগতিতে চলমান
কোনো কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। সিটে বসে কোনো কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে সামান্য
আদা চিবোতে পারেন। ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ওষুধঃ
হাইওসিন ব্রোমাইড বা স্কোপোলামিন। এটি ভ্রমণে বমির জন্য
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওষুধ। বিদেশে এটি চামড়ার উপরে লাগিয়ে রাখার জন্য প্যাঁচ হিসেবে পাওয়া
যায়।
দেশে
এটি ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যাচ্ছে। ভ্রমণের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সেবন করতে হয়। এটি তিন বছরের নিচের
বাচ্চা ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্দেশিত নয়।
অন্যান্য প্রচলিত ওষুধ : মেক্লিজিন, সিনারিজিন, প্রোমিথাজিন, ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ
উপরের ঔষধগুলো জেনেরিক নামে দেওয়া হলো। বাজারে কোম্পানি ভেদে
বিভিন্ন নামে এসব ওষুধ পাওয়া যায়। বয়স অনুসারে ওষুধের মাত্রাও ভিন্ন। ওষুধ কেনার সময় প্যাকেটে থাকা
নির্দেশনাটি ভালোভাবে পড়ে নিন।
ডা. রেজাউল করিম কাজল
সহযোগী অধ্যাপক, বিএসএমএমইউ
ঢাকা। ফোন : ০১৯৭৯০০০০১১
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।