সাধারণভাবে
বাংলাদেশের মানুষ ইফতারিতে শরবত, খেজুর, ছোলা,
মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলেপি খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ সঙ্গে ফল খান। তবে ভাজাপোড়ার দিকেই বেশির ভাগ মানুষের ঝোঁক থাকে। কারও কারও আবার নির্ভরতা বাইরের খাবারের ওপর। কেউ বাড়ির খাবারের সঙ্গে যোগ করেন বাইরেরটাও। সারা দিনে যত ক্যালরি খাবার খাওয়া দরকার শুধু
ইফতারিতেই তাই খেয়ে ফেলেন অনেকে। এ অভ্যেস তাই
স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
ইফতারিতে পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ ক্যালরি খাবার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে যা খাওয়া হয় তাতে হাজার ক্যালরি ছাড়িয়ে যায়। ইফতারের শুরুতে খেজুর খাওয়া হয়। এই ফলটি ক্যালরিসমৃদ্ধ এবং শরীরে শক্তি দেয়। কিন্তু একটির বেশি খেজুর খাওয়া ঠিক হবে না। যাঁদের ওজন কম, তাঁরা দুটি খেজুর খেতে পারেন।
তেলেভাজা খাবার খাবেন,
তবে যেকোনো এক ধরনের। রোজাদারেরা
এক মাস সময় পান। কাজেই পরিকল্পনা
করে এক দিন পেঁয়াজু, এক
দিন বেগুনি, এক দিন আলুর চপ
খেতে পারেন। এতে সব ধরনের
খাবারের স্বাদও পাবেন আবার শারীরিকভাবে সুস্থও থাকা সম্ভব হবে। ইফতারিতে ফল
থাকা বাঞ্ছনীয়। সে ক্ষেত্রে
একটি মিষ্টি ফল ও একটি টক ফল খাওয়া যেতে পারে। টক ফল ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ করবে।
জিলেপি ছাড়া অনেকে ইফতার করতেই চান না। মুখরোচক খাবার বটে। কিন্তু একটা মোটা জিলেপিতে ২০০ ক্যালরি রয়েছে। আমার পরামর্শ, একটা মোটা, বড় জিলেপির অংশবিশেষ খান।
আর রোজার মাসে সবজি অনেকেই কম খান। ইফতারিতে দেখেশুনে খেয়ে, রাতের মেন্যুতে সবজি রাখা জরুরি। ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ ও সবজি খেতে পারেন। যেদিন পেঁয়াজু খাবেন না, সেদিন ডাল খেতে পারেন।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ পুরোনো-পোড়া তেলে ভাজাভুজির কাজটা হয়। তেল পুরোনো হলে বিষক্রিয়া হয়। এতে যকৃত্ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেক সময় চামড়াতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি খেতেই হয়, তবে নামীদামি প্রতিষ্ঠান বাছতে হবে। নইলে বাসি খাবার খেতে হতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, বাসায় ইফতার করলে। (অনুলিখন)
আখতারুন্নাহার
প্রধান, পুষ্টিবিভাগ
বারডেম
হাসপাতাল
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।