সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: Zone Of Silence Mexico- মেক্সিকোর রহস্যময় সাইলেন্স জোন

Zone Of Silence Mexico- মেক্সিকোর রহস্যময় সাইলেন্স জোন


বিশ্বে এখনো বহু এলাকা রয়েছে যেগুলো অদ্ভুত রহস্যময়তার বেড়াজালে বন্দীএরকমই একটি রহস্যময় এলাকা মেক্সিকোর জোন অব সাইলেন্স বা নীরব ভূমিমূলত মেক্সিকো মরুভূমির ধ্রুপদী নামই জোন অব সাইলেন্সএই নীরব মরুতে সব সময়ই অদ্ভুত অদ্ভুত রহস্যময় ঘটনা ঘটেএর চতুর্দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, রহস্যময় ভুতুড়ে পরিবেশ সেই সঙ্গে রাতের গুমোট আঁধারে উল্কা বৃষ্টি নামেকেউ যদি সেখানে টেপরেকর্ডার বাজাতে থাকে তাহলে হঠাৎই সেটা থেমে যায়এ এলাকায় হঠাৎ করেই চলন্ত গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়এই অদ্ভুত কাণ্ডকীর্তির রহস্য আজো উন্মোচিত হয়নিমজার ব্যাপার হলো, জোন অব সাইলেন্স এবং কুখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল আর একই অক্ষাংশে

সেন্ট্রাল মেক্সিকোর মাসিপি মরুভূমির দশ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে এ নীরব ভূমিতে এসব আজব ঘটনার পাশাপাশি রয়েছে আজব সব প্রাণীর আনাগোনাএই মরুভূমির পোকার মাকড়গুলোও স্বাভাবিক পোকামাকড়ের চেয়ে দুই-তিনগুণ বড়এখানে প্রায় নিয়মিতই রাতের বেলায় উল্কাপিণ্ড ছিটকে পড়েজোন অব সাইলেন্স এর পাথরগুলোও এমন ভুতুড়ে যে কম্পাস পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়এ এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাইলটরা অভিযোগ করেছেন, তাদের সবকিছু কেমন যেন বিভ্রান্তিকর ঠেকেএখানকার দৈত্যাকার ক্যাকটাস গাছগুলো টকটকে লাল রংয়েরকিন্তু এই গাছই যখন এ এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তা সম্পূর্ণরূপে রং হারিয়ে ফেলেএখানকার বেঁটে হরিণগুলোর শিং মানুষের কবজির মতো মোটাআর বিছাগুলো কোনোটাই লম্বায় এক ফুটের কম নয়এগুলোর মাথা টকটকে লালজোন অব সাইলেন্সের এমন অদ্ভুত পরিবেশের কারণে কোনো মানুষ বসতি গড়ার শখ করেনিমরুভূমির আশপাশের মানুষও এখানকার পরিবেশের কারণে বিভ্রান্ত হয়তারা প্রতি রাতে আকাশে অদ্ভুত এক ধরনের আলো এদিক-ওদিক ছুটে চলতে দেখেএই মরুভূমির নিকটবর্তী শহর সেবালোসের কেউ কেউ এখানে ফ্লাইং সসার দেখেছে বলে দাবি করেছেএরকম আরও অনেকেই অদ্ভুত সব ঘটনার কথা বলেছে জোন অব সাইলেন্স নিয়ে১৯৭০ সালে ইউএস এয়ারফোর্স 'অ্যাথেনা' নামে একটি মিসাইল উটাহর গ্রিন রিভার থেকে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডে নিক্ষেপের জন্য প্রোগ্রাম করেকিন্তু মিসাইলটি আসল জায়গায় না গিয়ে পড়ে ওই ভুতুড়ে মরুতেইউএস এয়ারফোর্সের মিসাইল লক্ষচ্যুত হওয়া সচরাচর দেখা যায় নাইউএফও গবেষণাবিদ এবং লেখক ব্রাডস্টিগার ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, এর দুটি কারণ থাকতে পারেহয় কোনো অজানা শক্তি মিসাইলটি ধ্বংস করেছে নতুবা কোনো ইউএফও তার আন্ডারগ্রাউন্ড বেস থেকে ওটাকে জোন অব সাইলেন্সে টেনে এনেছেসাইলেন্স জোনের রহস্যময়তার রহস্য আজো ভেদ করা যায়নি 




সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১১ নভেম্বর ২০১১

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।