সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ইবোলা যেভাবে মানবদেহে আক্রমণ করে

ইবোলা যেভাবে মানবদেহে আক্রমণ করে

কঙ্গোর উপনদী ইবোলার নাম অনুসারে এই ভাইরাসের নামএরা প্রাণীদেহের জীবন্ত কোষগুলো দখল করে নিজেদের জিনোমের প্রজনন ঘটায়। ইবোলা একটি ফাইলোভাইরাস, দেখতে আঁশ বা সুতার মতো। ফাইলোভাইরাস লম্বা বা শাখাপ্রশাখাযুক্ত বা কোঁকড়ানো হতে পারে মারবার্গনামে একই ধরনের আরেকটি প্রাণঘাতী ভাইরাস রয়েছে। ১৯৭৬ সালে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও সুদানে প্রথম ইবোলা শনাক্ত করা হয়। ভাইরাসটি প্রায় আণুবীক্ষণিক, সাধারণ ব্যাকটেরিয়ার একটি ভগ্নাংশের সমান আকারের

আক্রমণঃ
১. আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, প্রস্রাব, মল, বীর্য ও অন্যান্য শারীরিক তরলের সংস্পর্শে ভাইরাসটি অন্যের শরীরে প্রবেশ করেপ্রভাব দেখা যায় ২ থেকে ২১ দিনে
২. রোগপ্রতিরোধব্যবস্থা ও শ্বেত রক্তকণিকা ধ্বংস করে
৩. আক্রান্ত কোষগুলো সারা শরীরে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয়
৪. রক্ত জমাট করে ফেলে এবং এ কারণে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়
৫. রোগপ্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এমন বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায় যে সেটি নিজের বিরুদ্ধেই কাজ করতে থাকে
৬. রোগটি মানুষের মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, অন্ত্র, চোখ, যৌনাঙ্গসহ শরীরের সব অঙ্গ-প্রতঙ্গে আক্রমণ করতে পারে
৭. সার্বিক রক্ত সংবহনব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়ে অথবা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হৃৎপিণ্ড অকার্যকর হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে শরীরের ২০ শতাংশের বেশি রক্ত বা তরল সরবরাহ বন্ধ হলে এ রকম বিপর্যয় ঘটে সুস্থ হয়ে ওঠা পুরুষেরা বীর্যের মাধ্যমে সাত সপ্তাহ পর্যন্ত ভাইরাসটি ছড়াতে পারে কিছু বাদুড় এই ভাইরাস ছড়াতে পারেতবে তারা নিজেরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না

বর্তমান চিকিৎসা
পানিশূন্যতা পূরণ,  রোগীকে পর্যবেক্ষণ

ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা
ইবোলার আক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির রক্তের সঙ্গে বর্তমান রোগীর মিশ্রণ ঘটিয়ে কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যএসেছে। নতুন ওষুধ তৈরির কাজ চলছেএটি একধরনের জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক, যা তামাক গাছের জৈব প্রকৌশল প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হবে

সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা/বোস্টন ইউনিভার্সিটি/এএফপি


সূত্রঃ প্রথম আলো, আগস্ট ১১, ২০১৪ 

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।