হেঁটে কিংবা সাইকেলে চড়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ফলে শুধু যে আপনার গাড়ির জ্বালানি কিংবা পকেটের টাকার সাশ্রয় এবং শরীরচর্চা হয় তা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। নির্দিষ্ট করে বললে, ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে অফিসগামী চাকরিজীবীদের তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম করে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতকারীরা কাজে তুলনামূলকভাবে বেশি মনোযোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি তাঁরা মানসিক চাপে ভোগেন তুলনামূলক কম।
যুক্তরাজ্যের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নরউইচ মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রিভেন্টিভ মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, যেসব চাকরিজীবী হেঁটে কিংবা সাইকেলে কর্মক্ষেত্রে যান, তাঁদের মানসিক অবস্থাও তুলনামূলক ভালো থাকে। সংশ্লিষ্ট শীর্ষ গবেষক মনোবিজ্ঞানী অ্যাডাম মার্টিন বলেন, গণপরিবহনের সেবা প্রায়ই ব্যাহত হতে পারে। এতে নিয়মিত অফিসযাত্রীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অবশ্য এ ধরনের পরিবহনে যাতায়াতের ফলে অন্য মানুষকে বুঝতে পারা যায় এবং তা সামাজিকীকরণে সহায়ক হয়। আবার নিয়মিত হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অভ্যাস করে নিলে একসময় বেশ ভালো লাগে এবং এই যাত্রা থেকে একধরনের মানসিক প্রশান্তিও অর্জন করা যায়।
গবেষকেরা যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী প্রায় ১৮ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালান, যাঁরা বাসে বা ট্রেনে চড়ে অফিসে যাতায়াত করেন। ১৮ বছরব্যাপী ওই পর্যবেক্ষণে গবেষকেরা ওই অফিসযাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেন। যেমন: নিজেদের গুরুত্বহীন ও অসুখী মনে করার প্রবণতা, রাতে ঘুম না হওয়া এবং অন্য কিছু সমস্যা। মার্টিন বলেন, যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য তুলনামূলক খারাপ। সূত্র: আইএএনএস।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।