লেবুর পুষ্টিমান
সম্পর্কে অনেকেরই জানা আছে। তবে পুরোপুরি
গুণের কথা হয়তো সবারই জানা নেই। একেক সময় একেক
রকম লেবু পাওয়া যায় বাজারে। পাতিলেবু, কমলালেবু, মোসাম্বিলেবু, গন্ধরাজ ও বাতাবিলেবু। ১০০ গ্রাম কাগজি বা পাতিলেবু থেকে যেসব পুষ্টি
উপাদান পাওয়া যায় (ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রাম) যা আপেলের ৩২ গুণ ও আঙুরের দ্বিগুণ। আরও পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম ৯০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ১৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি শূন্য দশমিক ১৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম, লৌহ শূন্য দশমিক ৩ মিলিগ্রাম। টাটকা লেবুর খোসাতেও পুষ্টি রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত দেহের
জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং স্বস্তি ফিরে আনে।
লেবু ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল। এই ভিটামিন দেহে সঞ্চিত অবস্থায় থাকে না, সে জন্য শিশু-বৃদ্ধ সবাইকে
প্রতিদিনই ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। জ্বর,
সর্দি,
কাশি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় লেবু অত্যন্ত কার্যকর। লেবুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে
সাহায্য করে। স্কার্ভি রোগ
থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি
দেহের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতা বাড়ায়। লেবুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্টস
হিসেবে কাজ করে দেহে ক্যানসারসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে। শিশুদের
দৈনিক ২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আবশ্যক। এ
সময় ভিটামিন সির অভাব হলে তা শিশুর ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে শিশুর দাঁত,
মাড়ি ও পেশি মজবুত হয় না। যাদের অরুচি ভাব আছে,
তারা খাবারে লেবু খেলে রুচি ফিরে পাবে খুব দ্রুত। মাথায় খুশকি নিবারণে লেবুর রয়েছে অসাধারণ
ক্ষমতা। সুতরাং
নিত্যদিনই খাবারের সঙ্গে লেবু রাখা উচিত।
মায়ো ক্লিনিক
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।