সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ‘মনোযোগী’ হওয়ার সহজউপায়

‘মনোযোগী’ হওয়ার সহজউপায়



 জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সেই যাত্রা এখনই শুরু করতে পারেন অতীতের কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা আর নয়, নয় ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তা।নানা দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনায় আমরা পার করি প্রতিটি দিনকত ধরনের মানসিক চাপে যে ভুগিএতে স্বাস্থ্য খারাপ হয়মন হয় অশান্তউদ্বেগের সীমা থাকে নাএসব থেকে নিস্তার পেতে হলে মনোযোগী হওয়া দরকারশুধু মনের দিকে খেয়াল রাখলেই আমরা শরীরে আশ্চর্য এক প্রতিষেধক তৈরি করতে পারিশরীর ও মনকে রাখতে পারি সুস্থ-সবলযাপন করতে পারি এক আনন্দময় জীবন

জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সেই যাত্রা এখনই শুরু করতে পারেনঅতীতের কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা আর নয়, নয় ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তা এর চেয়ে বরং কেবল এ মুহূর্তে কী ঘটছে, সেদিকে মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করুনমনকে নিবিষ্ট করার জন্য ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তুলুনখবুই সহজ উপায়ে তা করতে পারেন:


১. একটি চেয়ারের ওপর আরাম করে বসুনমেঝের ওপর দুই পা ভাঁজ করেও বসতে পারেনতবে তা যেন আরামদায়ক হয়, আর মেরুদণ্ড যেন থাকে সোজা
২. শ্বাস-প্রশ্বাস কীভাবে চলছে, খেয়াল করুনআপনার নাসারন্ধ্র কিংবা মুখ দিয়ে বাতাস যাওয়া-আসা করছেব্যাপারটা অনুভব করুনকিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে পেটের ওঠানামা লক্ষ করুন
৩. এভাবে আপনার মনোযোগের পরিধি আস্তে আস্তে কমিয়ে আনুনমনোযোগ একটি কেন্দ্রবিন্দুতে স্থির করার চেষ্টা করুনশব্দ, সংবেদনশীলতা ও ভাবনা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুন
৪. প্রতিটি চিন্তা কিংবা স্পর্শের অনুভূতি উপভোগ করুনতা ভালো কি মন্দএই বাছবিচার করতে বসবেন নাএর পরও আপনার মন চঞ্চল হয়ে উঠলে, আবার শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল করুনআবার গভীর মনোনিবেশ করুন
মনোযোগী হওয়ার জন্য এমন ধ্যানের আপনি যত বেশি চর্চা করবেন, ততই এর সুফল পেতে থাকবেনকোনো আয়োজন ছাড়াও আপনি এই ধ্যানের চর্চা করতে পারেনআনুষ্ঠানিক অনুশীলনের কোনো দরকার নেইএ জন্য কোথাও নিয়ম করে বসতে হবে নাআপনি যখন খাবার খাচ্ছেন, কিংবা স্নান করছেন, হাঁটছেন, কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন, অথবা কোনো শিশুর সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেছেন, তখনো আপনি এই ধ্যান করে নিতে পারেনএ ক্ষেত্রে
* শরীরের বিভিন্ন অনুভূতির দিকে খেয়াল করুন
*
নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস গ্রহণ করুন, যেন আপনার তলপেট বাতাসে পুরোপুরি ভরে ওঠেএরপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে বাতাস বেরিয়ে যেতে দিনশ্বাস গ্রহণের সময় ও ত্যাগের সময় নাসারন্ধ্রে ও মুখগহ্বরে যে স্পর্শের অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তা উপভোগ করুন
*
ধীরগতিতে প্রশ্বাস নিন এবং পরে পেট একেবারে খালি করে নিঃশ্বাস ছাড়ুন
*
পুরোমাত্রায় সচেতন থাকুনপ্রতিটি শব্দ, দৃশ্য ও স্পর্শের প্রতি গভীর মনোযোগ দিনউপভোগ করুন
* যদি টের পান, আপনার মন আবারও এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছে, তাহলে ধীরে সেই মুহূর্তের অনুভূতির প্রতি খেয়াল করুন
এভাবে চর্চা করতে থাকুনআর একদিন আবিষ্কার করবেন, কী ইতিবাচকভাবেই না বদলে গেছে আপনার জীবনশরীর ও মন হয়ে উঠেছে সুস্থ ও সবলআনন্দময়তা আপনার সঙ্গী হয়েছে।



সূত্রঃ প্রথম আলো

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।