জীবনে
ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সেই যাত্রা এখনই শুরু করতে পারেন।
অতীতের
কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা আর নয়, নয় ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তা।নানা
দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনায় আমরা পার করি প্রতিটি দিন। কত ধরনের মানসিক চাপে যে ভুগি। এতে
স্বাস্থ্য খারাপ হয়। মন হয়
অশান্ত। উদ্বেগের সীমা থাকে না। এসব
থেকে নিস্তার পেতে হলে মনোযোগী হওয়া দরকার। শুধু
মনের দিকে
খেয়াল রাখলেই আমরা শরীরে আশ্চর্য এক প্রতিষেধক তৈরি করতে পারি। শরীর ও মনকে রাখতে পারি সুস্থ-সবল। যাপন করতে পারি এক আনন্দময় জীবন।
জীবনে ইতিবাচক
পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সেই যাত্রা এখনই শুরু করতে পারেন। অতীতের কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা আর নয়, নয় ভবিষ্যতের জন্য
দুশ্চিন্তা। এর চেয়ে বরং কেবল এ মুহূর্তে কী ঘটছে, সেদিকে মনঃসংযোগ বৃদ্ধি
করুন। মনকে নিবিষ্ট করার জন্য ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। খবুই সহজ উপায়ে তা করতে পারেন:
১.
একটি চেয়ারের ওপর আরাম করে বসুন। মেঝের
ওপর দুই পা ভাঁজ করেও বসতে পারেন। তবে তা
যেন আরামদায়ক হয়, আর
মেরুদণ্ড যেন থাকে সোজা।
২. শ্বাস-প্রশ্বাস কীভাবে
চলছে, খেয়াল
করুন। আপনার নাসারন্ধ্র কিংবা মুখ দিয়ে বাতাস যাওয়া-আসা করছে। ব্যাপারটা অনুভব করুন। কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে পেটের ওঠানামা লক্ষ করুন।
৩.
এভাবে আপনার মনোযোগের পরিধি
আস্তে আস্তে কমিয়ে আনুন। মনোযোগ
একটি কেন্দ্রবিন্দুতে স্থির করার
চেষ্টা
করুন। শব্দ, সংবেদনশীলতা ও ভাবনা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুন।
৪. প্রতিটি চিন্তা কিংবা
স্পর্শের অনুভূতি উপভোগ করুন। তা
ভালো কি মন্দ—এই বাছবিচার করতে বসবেন না। এর পরও আপনার মন চঞ্চল হয়ে উঠলে, আবার শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে
খেয়াল করুন। আবার গভীর মনোনিবেশ করুন।
মনোযোগী হওয়ার জন্য এমন ধ্যানের
আপনি যত বেশি চর্চা করবেন,
ততই
এর সুফল পেতে থাকবেন। কোনো আয়োজন ছাড়াও আপনি এই ধ্যানের
চর্চা করতে পারেন। আনুষ্ঠানিক অনুশীলনের কোনো দরকার নেই। এ জন্য কোথাও নিয়ম করে বসতে হবে না। আপনি যখন খাবার খাচ্ছেন,
কিংবা
স্নান করছেন, হাঁটছেন, কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন, অথবা কোনো শিশুর সঙ্গে
খেলায় মেতে উঠেছেন, তখনো আপনি এই ধ্যান করে নিতে
পারেন। এ ক্ষেত্রে—
* শরীরের
বিভিন্ন অনুভূতির দিকে খেয়াল করুন।* নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস গ্রহণ করুন, যেন আপনার তলপেট বাতাসে পুরোপুরি ভরে ওঠে। এরপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে বাতাস বেরিয়ে যেতে দিন। শ্বাস গ্রহণের সময় ও ত্যাগের সময় নাসারন্ধ্রে ও মুখগহ্বরে যে স্পর্শের অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তা উপভোগ করুন।
* ধীরগতিতে প্রশ্বাস নিন এবং পরে পেট একেবারে খালি করে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।
* পুরোমাত্রায় সচেতন থাকুন। প্রতিটি শব্দ, দৃশ্য ও স্পর্শের প্রতি গভীর মনোযোগ দিন। উপভোগ করুন।
* যদি
টের পান, আপনার
মন আবারও এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছে,
তাহলে
ধীরে সেই মুহূর্তের অনুভূতির প্রতি খেয়াল করুন।
এভাবে চর্চা করতে থাকুন। আর একদিন আবিষ্কার করবেন, কী ইতিবাচকভাবেই না বদলে
গেছে আপনার
জীবন। শরীর ও মন হয়ে উঠেছে সুস্থ ও সবল। আনন্দময়তা আপনার সঙ্গী হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।