সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: সতেজ রাখুন আপনার খাবার

সতেজ রাখুন আপনার খাবার


খাবার সংরক্ষণের ব্যাপারে আমরা সবাই সতর্কতবুও না জেনে ছোটখাটো কিছু ভুলচুক আমরা করে ফেলি, যার খেসারতে অপচয় হয় অনেক খাবারশুধরে নিন সেই ভুলগুলোআর খাবার রাখুন অনেক দিনের জন্য টাটকাযুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ফুড রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ খাবার প্রতিনিয়ত উৎপাদন করা হচ্ছে, তার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আমাদের পাকস্থলীতে যাওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায়পরিমাণে তা প্রায় ১২০ কোটি থেকে ২০০ কোটি টন!



টমেটো রাখুন ফ্রিজের বাইরে

 আগে টমেটো ধুয়ে ভালোভাবে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
 টমেটোর ছোট্ট সবুজ কাণ্ডটি কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবেন না।
 টমেটোর ঝুড়ি রাখতে হবে একেবারেই কক্ষ তাপমাত্রায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা আছে—এমন জায়গা এড়িয়ে চলুন। কালশিটে দাগ দূর করার জন্য মাঝেমধ্যে জায়গা বদল করা যেতে পারে।



ফ্রিজ কী দোষ করল?
ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে টমেটোর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, তা ছাড়া এর গঠন-বিন্যাসও বদলে যায়। আর টমেটো পচতে দেরি করলেও এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

শাকসবজি

রাখতে হবে পানি শুকিয়ে!
 সবার আগে বেছে বেছে পচা পাতাগুলো ফেলে দিতে হবে।
 ধোয়ার পর, ঝুড়ি কিংবা শোষণকারী কাগজের সাহায্যে শাকসবজি থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
 রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণের সময় খেয়াল রাখুন, বিভিন্ন ধরনের শাক যেন একসঙ্গে না থাকে! এ জন্য আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।




কেন এমনটি করবেন?
শাকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পানি থাকলে তা দ্রুত পাতা পচিয়ে ফেলে। তা ছাড়া পচা পাতার সংস্পর্শে ভালো পাতায়ও পচন ধরে। পানি ঝরিয়ে নিলে শাক-পাতার আয়ুষ্কাল বাড়ে ১-২ দিন।

আলু ও পেঁয়াজ

আর একসঙ্গে নয় !
 আলু ও পেঁয়াজ রাখতে হবে আলাদা ঝুড়ি কিংবা ব্যাগে, যেখানে আলো-বাতাস সহজেই যাওয়া-আসা করতে পারে
 অন্ধকার এবং তুলনামূলক ঠান্ডা স্থানে রাখুন, তাই বলে রেফ্রিজারেটরে নয়!


কী হবে একসঙ্গে থাকলে?
আলু আর পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখা হলে, পরস্পরের সঙ্গে এদের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। যার ফলে দুটিই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।


ফ্রিজের দরজায় ডিম? আর নয়!

 ডিম রাখতে হবে ফ্রিজের তুলনামূলক ঠান্ডা এবং অন্ধকার স্থানে। দরজায় না রাখাই ভালো।
 অল্প সময়ের জন্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ আর কুসুম আলাদা করেও রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন





কেন রাখা যাবে না?
দরজা হচ্ছে রেফ্রিজারেটরের ভেতরের সবচেয়ে গরম স্থান। কারণ, বারবার ফ্রিজ খোলা হলে এর দরজাটাই গরম পরিবেশের সংস্পর্শে আসে সবচেয়ে বেশি। ঠান্ডা স্থান ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিতে বাধা দেয়, সেই সঙ্গে ডিমের গুণাগুণ রাখে অক্ষুণ্ন। তাই ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখলে বারবার তাপমাত্রা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়ে নষ্ট হতে পারে। 
বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান, আখতারুন নাহারের পরামর্শ গ্রন্থনা করেছেন ফারজানা হালিম।


সূত্রঃ প্রথম আলো,  ০১:৫৯, জানুয়ারি ২২, ২০১৫

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।