অফিস
মানেই ব্যস্ততা। কর্মজীবীদের দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা
অফিসেই কাটাতে হয়। সারাক্ষণ
কাজের মধ্যে থাকলে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা অজান্তেই আপনাকে গ্রাস করতে পারে। তাই ভালো থাকার জন্য জেনে নিন কিছু ঝটপট
স্বাস্থ্য পরামর্শ, যেগুলো মেনে চলতে পারলে
আপনি থাকবেন সতেজ ও চনমনে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে
এই পরামর্শ তালিকা তৈরি করেছেন।
পছন্দমতো
খাবারেরতালিকা
দুপুরে বাইরের মুখরোচক খাবার নয়, বরং বাড়িতে রান্না করা
স্বাস্থ্যকর খাবার সঙ্গে
নিয়ে অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এটা
স্বাস্থ্যসম্মত এবং সাশ্রয়ীও
বটে। কাজের দোহাই না দিয়ে সময়মতো খেয়ে নিন।
হাঁটতেই
হবে
নিজেকে চনমনে ও কর্মক্ষম রাখতে
চাইলে, সপ্তাহে
অন্তত পাঁচ দিন নিয়ম করে হাঁটার
অভ্যাস
করুন। হাঁটার সুন্দর একটি রাস্তা খুঁজে বের
করুন। সময় খুব বেশি না থাকলে একটু অন্যভাবে
চিন্তা করুন। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। গাড়ি থেকে অফিসের সামনে না নেমে একটু
দূরেই নামুন না হয়! তা হলে ১৫-২০ মিনিটের রাস্তা অন্তত হাঁটা হবে। এ
অভ্যাস ক্যালরি খরচ করে চাঙা ভাব আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
নিয়ম মেনে পানি
অফিসের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে
সাময়িক আরামদায়ক হলেও শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই
নিয়ম মেনে পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন
পানি পান
করতে হবে অন্তত আট-নয় গ্লাস।
সহজ
কিছু ব্যায়াম
কাজের ফাঁকেই একদম সাধারণ কিছু
শারীরিক ব্যায়াম করলে আপনার শরীর দ্রুত চনমনে হতে পারে,
যা
রক্ত চলাচল এবং মাংসপেশির উষ্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঘাড়: চোখ বন্ধ করে থুতনি নিচু
করে বুকের কাছে নিন। কাঁধে
কোনো চাপ না দিয়ে, ধীরে
ধীরে ঘাড়কে চারপাশে ঘুরিয়ে আনুন। এভাবে
প্রতি পাশে চার থেকে পাঁচবার
ঘুরিয়ে
ঘাড়ের ব্যায়াম করুন।
পিঠ: হাত
সামনের দিকে নিয়ে ঝুঁকে মেঝের
দিকে
তাকান। মেরুদণ্ডে হালকা টান পড়বে। ধীরে ধীরে সোজা হোন এবং হাত নামিয়ে নিন। এভাবে একটানা ১৫ বার ব্যায়ামটি করুন।
কবজি: কাজের
ফাঁকে হাতের
কবজি দুই দিকে ১০ বার করে ঘোরান। এই
ব্যায়াম দিনে ছয় থেকে আটবার
করতে
পারেন। কবজির প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধে এই
ব্যায়াম কার্যকরী।
পা: আপনার চেয়ারের দুই পাশে
দুই হাত সোজা রেখে ভর দিয়ে টান টান সোজা হোন, ওই অবস্থায়
দুই পা মেঝের সমান্তরালে সামনের দিকে বাড়িয়ে দিন। আঙুল বাঁকিয়ে আঙুলের ব্যায়ামও সেরে নিন।
বসার ভঙ্গি এবং কাজের অনুষঙ্গ বিন্যাস
চেয়ারে আমরা নানাভাবে বসি। কেউ কেউ কম্পিউটারের দিকে ঝুঁকে কিংবা
কুঁজো হয়ে বসে অভ্যস্ত। কিন্তু এ অভ্যাস বদলাতেই হবে। পাশাপাশি প্রয়োজন আপনার কর্মক্ষেত্রের আনুষঙ্গিক
যন্ত্রের সুষম বিন্যাস। যুক্তরাষ্ট্রে
এক জরিপে দেখা
যায়, বসা ও
কাজ করার সুন্দর পরিবেশ থাকলে কর্মদক্ষতা বাড়ে ১১ শতাংশ।
কাজের ফাঁকে বিরতি
মনে প্রশান্তির জন্য বিরতি
নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। মন
শান্ত থাকলে যেকোনো কাজ অনেক
কম সময়েই সুন্দরভাবে সেরে ফেলা সম্ভব। কাজের
প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে চাইলে
সবার আগে চাই মানসিক প্রশান্তি। আর
যাঁরা সব সময় কম্পিউটারের সামনে
কাজ
করেন, তাঁদের
নিয়মতি বিরতি নেওয়া আবশ্যক। কারণ, চোখের আরামের দিকটিও তো আপনাকেই দেখতে হবে!
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।