সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: এন্টিভাইরাস ছাড়াই পুরো কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত করুন

এন্টিভাইরাস ছাড়াই পুরো কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত করুন



লেখাটা তাদের জন্য যাদের কোন এন্টিভাইরাস নেই, কিন্তু পুরো কম্পিউটারে ভাইরাসের জয়জয়কার অবস্থা বা ভাইরাসের রাজত্ব। আমার স্লো পিসি। ২০০৯ এর নভেম্বরের দিকে এন্টিভাইরাস বাদ দিয়েছি। আজ জুন ২০১০ পর্যন্ত সেই এন্টিভাইরাস ছাড়াই আছি। তাছাড়া কোন Antivirus ১০০% নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম নয়, এটি পিসিকে খুব স্লো করে দেয়, তার উপর শুধু ভাইরাস ধরবে এ বিনিময়ে একে সিড্রাইভ থেকে বিরাট একটা জায়গার আবাসন বরাদ্দ দিতে হবে। তাই Antivirus থেকে আমি ১০০ হাত দূরে থাকার চেষ্টা করি। তাছাড়া কোন একটা পিসির ট্রাবলশুটিং করতে হচ্ছে। দেখতে পাচ্ছি পিসিটি ভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু আমার কাছে কোন আপডেট Antivirus নেই যে পিসিটি স্ক্যান করব। তখন এ পদ্ধতিটা ছাড়া কোন গতি নেই। আমি সবসময় এ ভাবে কাজ করি। ইতিপূর্বে ভাইরাস সম্পর্কে আমি বেশকিছু পোষ্ট করেছি। আজকে লেখব কিভাবে Antivirus ছাড়া পিসি থেকে ভাইরাস দূর করা যায়। অবাক লাগলেও ব্যাপারটা মজা লাগবে আশাকরি।


কাজটি করার জন্য আপনার লাগবে একটা Boot CD অবশ্য আপনি অভিজ্ঞ হলে Boot CD ছাড়াই কাজটি করতে পারবেন।

১. My Computer>Properties>System Restore>System Restore বন্ধ করে দিয়ে পিসি রিস্টার্ট দিন। 

২. Boot CD থেকে পিসি রান করুন।

৩. পিসি রান হয়ে Desktop আসলে My Computer খুলুন। এবার Tools Menu>Folder Options…>View তে গিয়ে Show hidden files and folders অপশনটা দিন, এবং Hide extensions for known file types আর Hide protected operating system files (Recommended) দুটো থেকে ঠিক চিহ্ণ তুলে দিন Yes/No চায়লে Yes দিন। অবশ্য Boot CD তে গুলো করা থাকে। না থাকলেই কেবল আপনাকে করতে হবে।

এর বিনিময়ে আপনি সকল হিডেন ফাইলগুলো দেখবেন এবং সাথে সকল ফাইলের Extension গুলোও দেখবেন।

৪. এবার রাইটক্লিক করে “C” Drive টাকে Format দিন। (আপনি অভিজ্ঞ হলে একাজটি শেষেও করতে পারেন) ফরমেট করার আগে অবশ্যই আপনার My Document, Desktop এ মূল্যবান কোন ডাটা থাকলে তাBackup নিয়ে রাখুন।

৫.এবার প্রত্যেক ড্রাইভের System Volume Information এ যান এবং সেখানে থাকা সব ফাইল-ফোল্ডার ডিলিট করে দিন। একইভাবে $RECYCLE.BIN, RECYCLER Folder থাকলে সেগুলো থেকেও সব ফাইল-ফোল্ডার ডিলিট করে দিন। ভয় পাবেন না, এজন্য আপনার পিসির কোন ক্ষতি হবেনা। প্রয়োজন হলে  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

৬. এবার দেখুন কোন ড্রাইভে inf, exe, vbs, dll, reg, bat, cmd এক্সটেনশনের কোন ফাইল আছে কিনা। থাকলে সব ডিলিট করুন।

৭. আপনার পিসির হার্ডডিস্কে Backup থাকা সন্দেহজনক (সম্ভব হলে সবগুলো) সফটওয়ারগুলো ডিলিট করে দিন। কারণ আপনার পিসি যখন দীর্ঘদিন ভাইরাস আক্রান্ত থাকে তখন সফটওয়ারগুলো ভাইরাসমুক্ত থাকার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে আমি আমার Backup Software গুলো ব্যবহার করে থাকি এবং পিসির সফটওয়ারগুলো ডিলিট করে দিই। সিরিয়াল-কীগুলোও রাখতে পারেন। এগুলো পরে কাজে আসবে।

৮. উপরের ৫,,৭ কাজটি ভালভাবে বুঝে করুন। উক্ত কাজগুলো সঠিকভাবে করার পর নতুন করে Windows দিন। এবার মেইনবোর্ড ড্রাইভারসহ দরকারী সফটওয়ারগুলো (সদ্য ডাউনলোডকৃত ভাইরাসমুক্ত সফটওয়ার) সেটআপ করুন। এখন আপনার পুরো পিসি যদি ১০০ টা Antivirus দিয়েও রান করেন তাহলে আর ভাইরাস পাবেন না। (আপনি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে চায়লে উইন্ডোজ দেয়ার পর কিছু ইন্সটল করার আগে ইন্সটল করতে পারেন।)

ভাইরাসমুক্ত সফটওয়ার সংগ্রহঃ Graphics, Multimedia, Internet, Writing Soft, Mobile, Utility ইত্যাদি ক্যাটাগরির সফটওয়ারগুলো আসল সাইট থেকে ডাউনলোড করে সিডিতে রাইট করে নিজের সংগ্রহে রাখুন। এতে ভবিষ্যতে ঐ সফটওয়ারগুলো ব্যবহার করার জন্য আর Antivirus দিয়ে স্ক্যান করতে হবেনা। কারণ সিডিতে রাখলে সফটওয়ারগুলোকে ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে না। শুধুমাত্র অরজিনাল সাইট ছাড়া নেট থেকে নামানো সব ফ্রি সফটওয়ার কিন্তু ভাইরাসমুক্ত না মনে রাখবেন। এখানে ক্লিক করে এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। উল্লেখিত ক্যাটাগরির সফটওয়ারগুলো আপনার সংগ্রহে থাকলে যেকোন পিসিকে আপনি ভাইরাসমুক্ত করতে সমস্যায় পড়তে হবেনা। কারণ পিসিতে থাকা সকল সফওয়ার ডিলিট করলেও তাতে আপনার সমস্যা নেই যেহেতু আপনার সংগ্রহে আছে। তারপরও ভাইরাসকে ভয় লাগলে Deep Freeze এবং Hiren’s Boot CD সম্পর্কে একটু পড়তে পারেন।
 
 সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ০৬/০৮/২০১০খ্রিঃ।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।