Windows XP বর্তমান সময়ের কাছে অনেক পুরাতন। তারপরও এর
জনপ্রিয়তা নিয়ে কারো প্রশ্ন নেই। সাধারণত যে সব নতুন ইউজার কম্পিউটার জ্ঞান অর্জন শুরু করে তারাও
প্রথমে এক্সপি দিয়েই শুরু করে। তাছাড়া Windows Setup শিখতে গেলেও Windows XP Setup এর ধারণাটা
প্রথমেই আসে। তাই Windows XP Setup সম্পর্কে
জ্ঞান থাকটা জরুরী। যদিও এখন Windows XP
Setup শেখার ইউজারের সংখ্যা হাতেগুণা মাত্র। তবে এখনো
কম্পিউটার হার্ডওয়ারের জগতে নতুন এবং শিখতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে আমি এ পোষ্টটি
করছি।
Windows XP
Setup:
Windows Setup শিখতে গেলে
প্রথমে BIOS (Basic Input
Output System) সেটিংস জানতে হবে। আর এ বিষয়টি
হাতে কলমে শিখার কোন বিকল্প নেই। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো কাছে গিয়ে এ
বিষয়টি জেনে নিতে হবে।
প্রথমে BIOS এ 1st Boot Device হিসেবে CD ROM সিলেক্ট করে
দিতে হবে। তারপর XP CD পিসি’র CD ROM ড্রাইভে প্রবেশ করিয়ে পিসি রিস্টার্ট দিন। এক্সপি সেটাপের কাজটি কয়েকটি ধাপে শেষ
হয়।
১ম ধাপঃ
এই পর্বটি হলো Partition Create/Delete, Format, File
Copy এর পর্ব। আপনার পছন্দমত Partition Create/Delete, Format করে নিতে
পারবেন এখানে। Partition Create/Delete,
Format কাজগুলো করার পর Windows আপনার XP CD থেকে Installation এর সব ফাইল হার্ডডিস্কে কপি করে নিবে
যা পরবর্তী রিস্টার্টের পর ইনস্টল হবে।
১। পিসি রিস্টার্ট দেওয়ার পর
মনিটরে চোখ রাখুন। নিচের
চিত্রের মত Press any Key
To boot From CD... মেসেজ আসার সাথে সাথে কী-বোর্ড থেকে
এন্টার বা যে কোন কী চাপুন। কোন
কারণে কী চাপতে দেরী হলে আবার রিস্টার্ট দিতে হবে। না হয় সেটাপ শুরু হবেনা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
২। কিছুক্ষণ পর নিচের চিত্রটি আসবে। একদম নিচে দেখুন (সবসময় চিত্রের নিচে দেখতে হবে)। সেখানে তিনটি লেখা আছে।
Enter=Continue,
R=Repair, F3= Quit. আপনি যেহেতু সামনে এগুবেন তাই আপনাকে Continue করতে
হবে। আর তাই আপনি এন্টার চাপুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
৩। কিছুক্ষণ পর Windows XP Licensing Agreement page আসবে নিচের চিত্রের মত। আপনাকে License এর সব
শর্ত মেনে নিতে বা গ্রহণ করতে হবে।
মেনে
না নিলে সামনে এগুনো যাবেনা। আগের
মত চিত্রের নিচে লেখা আছে সব কিছু। আপনি
যেহেতু License মেনে
নিবেন তাই আপনাকে F8
চাপততে হবে কী-বোর্ড থেকে।
F8 মানে
আমি Licensing
Agreement মেনে
নিলাম।
কাজটি করার পর আবার অপক্ষো করতে হবে।
৪। আপেক্ষা করার
পর আপনার হার্ডডিস্ক এর সাইজ এর পার্টিশন বা ড্রাইভগুলো আসবে। C ড্রাইভটা
সিলেক্ট করা থাকবে। না থাকলে কি-বোর্ড থেকে Arrow key এর মাধ্যমে C ড্রাইভটা সিলেক্ট করুন। অথবা আপনি যে ড্রাইভে Windows
Install করতে চান সেই ড্রাইভটা সিলেক্ট করুন। এবার নিচের চিত্রে লক্ষ করুন আপনাকে Install করার জন্য Enter চাপতে বলছে। তাহলে এন্টার চাপুন।
আপনার
হার্ডডিস্কটা যদি নতুন হয় তাহলে এখানে নিচের চিত্রের মত Un-partitioned space আসবে। তখন আপনাকে আপনার হার্ডডিস্কের
Partition করতে হবে। Create Partition with XP পোস্টটিতে পার্টিশান কিভাবে করতে হয় তা নিয়ে বর্ণনা আছে।
৫। ENTER চাপলে Format এর অপশন আসবে। প্রতিটি
ড্রাইভকে ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য যেকোন একটি Format ব্যবহার করতে হয়। Windows সাধারণত FAT আর NTFS দুটি Format সমর্থন করে। আর Windows XP দুটি ফরমেটেই ইনস্টল করা যায়। আর ফরমেট করার জন্য এখানে চারটা থেকে একটি সিলেক্ট করতে হবে আপনাকে আপনার
প্রয়োজমোতাবেক। সাধারণত আমি NTFS Quick বা ১ম টা
ব্যবহার করি। তাই আপনি একটি অপশন সিলেক্ট করে Continue করার জন্য Enter চাপুন।
৬। নিচের চিত্রের মত ফরমেটিং এর কাজ শুরু হবে। ফরমেট শেষ হলে ফাইল কপির কাজ শুরু হবে। এ কাজগুলো হতে ৫-১০ মিনিট মত লাগবে। কাজ শেষ হলে পিসি অটোমেটিক রিস্টার্ট নেবে। তাহলে ১ম পদক্ষেপ শেষ। রিস্টার্টের পর ২য় পদক্ষেপ শুরু হবে।
২য় ধাপঃ
এই পর্বটি হলো Installation পর্ব। এখানে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস ঠিক করে নিতে হবে। বাকি Installation এর কাজ Windows করে নিবে।
৭। এ পর্যায়ে (Continue the installation) ইন্সটলেশন শুরু
হবে যেখানে আপনি দেখবেন Aproximately39
minutes লেখা আছে যা
দেখতে নিচের চিত্রের মত দেখাবে। Aproximately39 minutes এর কথা বলা
থাকলেও বাস্তবে এত সময় লাগেনা।
৮। Installation Process চলার কিছুক্ষণ
পর নিচের চিত্রটি আসবে আর আপনি Next
দেবেন।
৯। এরপর নিচের চিত্রটি আসবে আপনি আপনার নামটা লেখবেন এবং Next দেবেন।
১০। এরর নিচের চিত্রটি আসবে যেখানে Product Key/Serial Key গুলো লেখতে হবে। সিরিয়াল কী
দেওয়ার পর Next দিন।
১১। নিচের চিত্রটিতে আপনি চাইলে কম্পিউটার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিতে পারেন বা
কিছুই না দিয়ে Next দিতে পারেন। সাধারণত নেটওয়ার্কিং এর জন্য সুন্দর
একটি কম্পিউটার নেম দিলে ভালো হয়। এখানে ব্যবহৃত আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড
ভুলে গেলে আমার এ লিংকটি দেখতে পারেন।
১২। এখানে বর্তমান Date, Time ঠিক করে দিনে। এছাড়া Time Zone হিসেবে আমাদের
দেশের জন্য Dhaka সিলেক্ট করে
দিন। এগুলো পরেও ঠিক করা যায়। সবশেষে Next দিন।
১৩। আরো কিছুক্ষণ
পর নিচের চিত্রটি আসতে পারে, এখানেও আপনাকে Typical Settings ঠিক রেখে Next দিতে হবে।
১৪। নিচের চিত্রটি Workgroup এর জায়গায় আপনি
আপনার নেটওয়ার্কিং প্রতিষ্ঠান থাকলে তার নাম দিতে পারেন। এটি Networking এর জন্য
গুরুত্বপূর্ণ। না জানলে যেমন আছে তেমন রেখে শুধু Next দিন। এরপর অপেক্ষা
করতে থাকুন। এখানে Windows গুরুত্বপূর্ণ ড্রাইভার, হটফিক্স এবং সফটওয়ার ইনস্টল এবং
প্রয়োজনীয় সেটিংস এর কাজ করবে। কাজ শেষে পিসি রিস্টার্ট নেবে। রিস্টার্টের আগে পিসি কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আবার Aproximately39 minutes বা ২য় ধাপ থেকে
শুরু করতে হবে। তাই এ ধাপটি
চলাবস্থায় পিসি বন্ধ হওয়া যাবে না।
৩য় ধাপঃ
এই পর্বটি হলো User Profile Settings এর পর্ব। এখানে আপনাকে পছন্দমত বেশ কিছু সেটিংস ঠিক করে নিতে হবে।
১৫। নিচের চিত্রটি এ পর্বের প্রথম সেটিংস। এখানে OK দিন। এরপর আবার মেসেজ আসবে এবং এখানেও OK দিতে হবে।
১৬। এরপর নিচের চিত্রগুলো আসতে পারে। চিত্র অনুযায়ী সেটিংস
দিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
১৭। এখানে User Name লিখতে হবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি ইউজারের নাম লিখতে পারেন। এতগুলো যদিও
দরকার হয় না। User Name লিখার পর Next দিন।
১৮। এবার Thank you! page, আসবে Finish দিন।
১৯। অল্প কিছুক্ষণ পর নিচের মত এক্সপি'র ডেস্কটপ দেখতে পাবেন। এবার প্রয়োজনীয় ড্রাইভার, সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।