সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: Titanic - অনন্ত এক ইতিহাসের নাম

Titanic - অনন্ত এক ইতিহাসের নাম

Titanic

একটি বৃহদাকার সামুদ্রিক জাহাজ। ১৫ এপ্রিল ১৯১২ এটি হিমশৈলের (আইসবার্গের) সঙ্গে সংঘর্ষে ডুবে যায়। ঐ সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ আধুনিক ও বিলাসবহুল যাত্রিবাহী জাহাজ। টাইটানছিল গ্রীক পুরানের সৃষ্টির শক্তিশালী দেবতা। এই দেবতার কাজই ছিল শুধু সৃষ্টি করা। তার নামানুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল টাইটানিক। এটি আসলে জাহাজটির সংক্ষিপ্ত নাম। এর পুরো নাম ছিল আর এম এস টাইটানিকআর এম এসএর অর্থ হচ্ছে রয়্যাল মেল স্টিমার। অর্থাৎ পুরো জাহাজটির নাম ছিল রয়্যাল মেল স্টিমার টাইটানিক


RMS Titanic 3.jpg
টাইটানিক পরীক্ষামূলক যাত্রায় বেলফাস্ট থেকে যাত্রা করছে, এপ্রিল ২১৯১২.
কার্যকালব্রিটিশ নীল এনসাইন
জাতীয়তা:ব্রিটিশ
মালিবৃন্দ:হোয়াইট স্টার লাইন
নির্মাতা:হারল্যান্ড অ্যান্ড উল্‌ফ শিপইয়ার্ড, বেলফাস্ট
ক্যাপ্টেন:এডওয়ার্ড জন স্মিথ
Port of registry:LiverpoolEngland
Laid down:31 March 1909
Launched:31 May 1911
Christened:Not christened
Maiden voyage:10 April 1912
Fate:Struck an iceberg at 23:40 on 14 April1912. Sank on 15 April 1912, at 02:20; wreck discovered in 1985 by Robert Ballard.
Current location: ৪১°৪৩′৫৫″ উত্তর ৪৯°৫৬′৪৫″ পশ্চিম
General Characteristics
Gross tonnage:46,328 GRT
Displacement:52,310 Long Tons
Length:882 foot 9 inches (269 m)
Beam:92 foot 6 inches (28 m)
Draught:34 foot 7 inches (10.5 m)
Power:25 double-ended and 4 single-ended Scotch boilers at 215 psi. Two four cylinder triple-expansion reciprocating engines each producing 16,000 hp (12 MW) for outer two propellers. One low-pressure (about 7 psi absolute)steam turbine producing 18,000 hp (13.5 MW) for the center propeller. Total 50,000 hp (37 MW)
Propulsion:Two bronze triple-blade sidepropellers. One bronze quadruple-blade central propeller.
Service speed:21 knots (40.6 km/h) (24.5 mph)
Top speed:23.75 knots (42.6 km/h) (26.5 mph)
Number of passengers (maiden voyage):1912 - Total 2,208
  • First-class: 324
  • Second-class: 285
  • Third-class: 708
  • Crew: 891
    • Passengers and crew who survived: Unknown precisely but estimates commonly place the figure at 705
    • Passengers and crew who perished: Unknown precisely but estimates commonly place the figure between 1,502 and 1,523 casualties

নির্মাণকালীন তথ্য

টাইটানিক জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয় ১৯০৭ সালে। পাঁচ বছর একটানা কাজ করে ১৯১২ সালে জাহাজটির কাজ শেষ হয়। হল্যান্ডের হোয়াইট স্টার লাইনএই জাহাজটি নির্মাণ করেন। ৬০ হাজার টন ওজন এবং ২৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জাহাজটি নির্মাণ করতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৭৫ লাখ ডলার।

যাত্রা শুরু

১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। সে সময় টাইটানিকে মোট যাত্রী ছিল ২২০০ জন এবং কয়েকশ কর্মী। শুরুতেই মাত্র চার ফুটের জন্য এসএসসিটি অব নিউইয়র্কজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সমর্থ হয়। ৭৭ নটিক্যাল মাইল এগিয়ে শেরবুর্গ থেকে ২৭৪ জন যাত্রী তুলে নেয়। ১১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় আয়ারল্যান্ডের কর্ক পোতাশ্রয় থেকে জাহাজে ওঠেন ১১৩ জন তৃতীয় শ্রেণীর এবং সাতজন দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী।[১] বৃটেন থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাওয়া খুবই বিপদজনক ছিল। ছোটখাটো জাহাজের পক্ষে বলা চলে জীবন বাজি রেখে যাত্রা করা। কেননা হঠাৎ সামুদ্রিক ঝড়- জলোচ্ছ্বাসে পড়ার আশংকা সবসময়ই ছিল। তারপরও এত সংখ্যক যাত্রী সমুদ্রের রোমাঞ্চকর এই ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য টাইটানিকের যাত্রী হয়েছিল। টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩১০০ ডলার। আর তৃতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩২ ডলার।

দুর্ঘটনার দিন দুপুরের ঘটনা

১৪ই এপ্রিল দুপুর দুইটার দিকে Amerikaনামের একটি জাহাজ থেকে রেডিওর মাধ্যমে টাইটানিক জাহাজকে জানায় তাদের যাত্রাপথে সামনে বড় একটি আইসবার্গ রয়েছে। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে Mesabaনামের আরও একটি জাহাজ থেকে এই একই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় টাইটানিকে। এ সময় টাইটানিকের রেডিও যোগাযোগের দায়িত্বে ছিলেন জ্যাক পিলিপস ও হ্যারল্ড ব্রীজ। দুবারই তাদের দুজনের কাছে এই সতর্কবার্তাকে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তাই তারা এই সতর্কবার্তা টাইটানিকের মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে পাঠান নি। টাইটানিক দুর্ঘটনার মাত্র ৪০ মিনিট আগে Californian সিপের রেডিও অপারেটর টাইটানিকের সাথে যোগাযোগ করে আইসবার্গটি সম্পর্কে বলতে চেয়েছিল কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটর ক্লান্ত জ্যাক পিলিপস্ রাগান্বিত ভাবে বলে "আমি কেইপ রেসের সাথে কাজে ব্যস্থ এবং লাইন কেটে দেয়।" ফলে Californian সিপের রেডিও অপারেটর তার ওয়ার্লেস বন্ধ করে ঘুমাতে চলে যায়। বলা চলে তাদের এই হেয়ালীপনার কারণেই ডুবেছে টাইটানিক

দুর্ঘটনায় পড়া

টাইটানিক যখন দুর্ঘটনা স্থলের প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। তখনই জাহাজের ক্যাপ্টেন সামনে আইসবার্গ এর সংকেত পান। আইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড। এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকে। মানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় না। তখন তিনি জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিণ দিকে ফিরিয়ে নেন। সে সময় টাইটানিকের পথ পর্যবেক্ষন কারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই আইসবার্গটি দেখতে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার মুর্ডক আকস্মিকভাবে বামে মোড় নেওয়ার অর্ডার দেন এবং জাহাজটিকে সম্পূর্ণ উল্টাদিকে চালনা করতে বা বন্ধ করে দিতে বলেন। টাইটানিককে আর বাঁচানো সম্ভব হয় নি। এর ডানদিক আইসবার্গের সাথে প্রচন্ড ঘষা খেয়ে চলতে থাকে। ফলে টাইটানিকের প্রায় ৯০ মিটার অংশ জুড়ে চিড় দেখা দেয়। টাইটানিক জাহাজটি যেই স্থানে ডুবেছিল সেই স্থানের নাম হলো গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ড। টাইটানিক সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারতো। কিন্তু পানিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৫টি কম্পার্টমেন্ট। এছাড়া পানি প্রতিরোধ এর জন্য ১২টি গেট ছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এমন জায়গায় জাহাজটির ধাক্কা লাগে যে, সবগুলো গেটের পানি প্রতিরোধ বিকল হয়ে যায়। পানির ভারে আস্তে আস্তে পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে টাইটানিক।

সম্পূর্ণ অংশ তলিয়ে যাওয়া

রাত ২ টা থেকে ২ টা ২০ মিনিটের মধ্যে টাইটানিকের সম্পূর্ণ অংশ আটলান্তিকের বুকে তলিয়ে যায়। ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে জাহাজের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিকল হয়ে যায়। আরো জানুন: আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন

বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার

টাইটানিক যখন সমুদ্রের বুকে তলিয়ে যায় ঠিক তার এক ঘন্টা ৪০ মিনিট পর রাত ৪ টা ১০ মিনিটে সেখানে আসে দি কারপাথিয়ানামের একটি জাহাজ। যারা সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন তাদেরকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিউইয়র্কে চলে যায়।

ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া

দীর্ঘ ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে যন্ত্রচালিত অনুসন্ধান শুরু করে একদল বিজ্ঞানী। রবার্ট বালার্ড নামক ফরাসি বিজ্ঞানী টাইটানিককে খুঁজে বের করন। ১৯৮৫ সালে এর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আনসিংকেবল টাইটানিক এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৬০০ ফুট নিচে আটলান্টিকের তলদেশে স্থির হয়ে আছে। দ্বিখণ্ডিত জাহাজটির দুটো টুকরো ১৯৭০ ফুট দূরে অবস্থান করছে। টাইটানিকের সম্মুখভাগ সমুদ্রতলে ৬০ ফুট মাটির গভীরে প্রোথিত। ১৪ জুলাই ১৯৮৬, ঘটনার ৭৪ বছর পর টাইটানিক পুনরাবিষ্কৃত হয়।[২]


সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

২টি মন্তব্য:

  1. খুব কাজের টপিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ।আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস । এর আগেও একটা নিউজ পেয়েছিলা এই নিউজ ও অনেক

    উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। তবে আপানার এটা বাশি ভাল হইছে তাই আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। এরকম আরো একটি লেখা

    পড়েছিলাম এখানে> http://muktomoncho.com/archives/1204

    উত্তরমুছুন

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।