সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook instagram Telegram এ পাবেন। কামরুলকক্স: ডাটা নিরাপদ রেখে পার্টিশান রিসাইজ করুন

ডাটা নিরাপদ রেখে পার্টিশান রিসাইজ করুন



ধরুন –“আপনার একটি হার্ডডিস্ক আছে যার সাইজ 80GB বা তার অধিক এই সাইজ দিয়ে নিঃসন্দেহে একাধিক ড্রাইভ তৈরি করা যায় কিন্তু আপনার হার্ডডিস্কে ড্রাইভ আছে মাত্র একটি সেটাতেই OS (Operating System), সেটাতেই আপনার সব ডাটা এখন কোন সময় যদি আপনার OS ক্রাশ করে বা নতুনভাবে OS ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার ডাটাগুলো Back Up নেয়ার সুযোগ না থাকার কারণে নিশ্চয় হারাতে হবে তাছাড়া আলাদা কোন ড্রাইভ নেই বলে আপনার মিউজিক, ভিডিও, সফটওয়ার, ডকুমেন্ট, ইমেজ ইত্যাদি ডাটাগুলো একই ড্রাইভে রাখতে হচ্ছে যদি হার্ডডিস্কে একাধিক ড্রাইভ থাকে তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হয় এতে আপনার ডাটাগুলো যেমনি ভাগ করে আলাদা আলাদা ড্রাইভে রাখতে পারবেন তেমনি তা OS ক্রাশ করলে বা নতুনভাবে OS ইনস্টল করলে হারানোর ভয় থাকবে না

এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে-C ড্রাইভের OS অক্ষত রেখে, ডাটাগুলো সুরক্ষিত রেখে C ড্রাইভকে ভেঙ্গে আরো কয়েকটি ড্রাইভ বা Partition Resize করা যাবে কিনা হ্যাঁ এই কাজটি খুব সুন্দরভাবে করা যায় Partition Wizard Mini Tool নামের একটি ফ্রী সফটওয়ার দিয়ে কাজটি সঠিকভাবে, মনের মত করে, খুব দ্রুত সময়ে করা যায় আমি আজকে Partition Re-size বা  ড্রাইভ “C” ভেঙ্গে তিনটি ড্রাইভ করে দেখাবো। অবশ্য এ কাজটি Volume Shrink  এর মাধ্যমেও করা যায়

কিভাবে পার্টিশান রিসাইজ করতে হয়ঃ
প্রথমে Partition Wizard Mini Tool ডাউনলোড করে রান করুন কিভাবে ডাউনলোড আর রান করতে হয় তার জন্য আমার Partition Wizard Download & Run পোস্টটি দেখতে পারেন এর পর নিচের টিউটোরিয়াল অনুসরণ করুন পোস্টটি ভালভাবে বুঝার জন্য খুব অল্প সময়ে হার্ডডিস্ক পার্টিশান করুন পোস্টটি দেখুন

রান হওয়ার পর আমার হার্ডডিস্কের অবস্থা দেখুন নিচের চিত্রে আমার একটি হার্ডডিস্ক (সবুজ চিহ্নিত), হার্ডডিস্কের Windows নামের C ড্রাইভ (কালো চিহ্নিত), ড্রাইভটির পুরো সাইজ বা Capacity 15.99GB (লাল চিহ্নিত), ব্যবহৃত জায়গা বা Used Space 2.61GB (লাল চিহ্নিত), অব্যবহৃত জায়গা বা Un-used Space 13.38GB দেখাচ্ছে

এখন আমরা C ড্রাইভেকে রিসাইজ করবো উপরে ১ নং চিত্রে দেখা যাচ্ছে আমাদের C ড্রাইভের ব্যবহৃত সাইজ বা Used Space হলো 2.61GB খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে -আমরা কোন ড্রাইভকে যখন রিসাইজ করতে যাবো তখন এর সাইজটি দ্বিগুণ রাখবো সুতরাং আমাদের C ড্রাইভেকে রিসাইজ করা হলে এর সাইজ রাখতে হবে কমপক্ষে 2.61GBx2= 5.22GB বা 6GB এর কাছাকাছি এর চেয়ে কমাতে চায়লে ঐ ড্রাইভে রক্ষিত ডাটা হারানোর সম্ভাবনা আছে
Partition C Resize করার জন্য বা C ড্রাইভেকে Re-size করার জন্য ড্রাইভটি সিলেক্ট করুন (লাল চিহ্নিত) তারপর Move/Re size বাটনে (সবুজ চিহ্নিত) ক্লিক করুন

C ড্রাইভেকে রিসাইজ করার জন্য উইন্ডো চলে এসেছে এখানে C ড্রাইভের কতটুকু জায়গায় ডাটা রক্ষিত আছে তা হলুদ রঙে দেখাচ্ছে (লাল চিহ্নিত)

আমি C ড্রাইভেকে রিসাইজ করে 6.03GB করলাম রিসাইজ করার পর OK দিন

আমাদের আগের Windows নামের C ড্রাইভ রয়েগেছে (সবুজ চিহ্নিত), এবং Unallocated (কালো চিহ্নিত) হিসেবে বাকি সাইজ 10GB এর কাছাকাছি রয়েগেছে Unallocated মানে আরো ড্রাইভ তৈরি করার জন্য হার্ডডিস্কের খালি জায়গা এখন আমরা বাকি সাইজ দিয়ে আরো দুটো ড্রাইভ করবো

নতুন ড্রাইভ তৈরি করার জন্য Unallocated Space (কালো চিহ্নিত) সিলেক্ট করে Create বাটনে (কালো চিহ্নিত) ক্লিক করুন

নিচের মত Unallocated Space এর সাইজ (কালো চিহ্নিত) নিয়ে উইন্ডো আসবে এখানে আমার নতুন ড্রাইভ তৈরির জন্য সাইজ সহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে
  
এখানে আমি Partition Label= Media (নতুন ড্রাইভের নাম), Partition Type= Logical, File System= NTFS, Drive Size= 5 GB দিয়েছি তারপর OK দিন

নিচের চিত্রের মত আসবে আমার নতুন ড্রাইভ D (Media) (কালো চিহ্নিত) তৈরি হয়ে গেছে বাকি জায়গা 4.98 GB Unallocated  (সবুজ চিহ্নিত) হিসেবে রয়েগেছে

১০ বাকি 4.98 GB  Unallocated জায়গা নিয়ে আরেকটি ড্রাইভ তৈরি করবো এ জন্য Unallocated Space (কালো চিহ্নিত) সিলেক্ট করে Create বাটনে (কালো চিহ্নিত) ক্লিক করুন

১১ নিচের চিত্রের মত আসবে এখানে আমি Partition Label= Image (নতুন ড্রাইভের নাম), Partition Type= Logical, File System= FAT32, Drive Size= 4.98 GB দিয়েছি তারপর OK দিন

১২ এখন আমি হার্ডডিস্ক সিলেক্ট করলাম (কালো চিহ্নিত) এর ফলে আমার এতক্ষণ করা কতগুলো কাজ Pending রয়েগেছে তা দেখাচ্ছে (সবুজ চিহ্নিত)Pending  কাজগুলো কার্যকর না করা পর্যন্ত আমরা কোন ফলাফল পাব না।

১৩ Pending কাজগুলো কার্যকর করার জন্য Apply বাটনে (কালো চিহ্নিত) ক্লিক করতে হবে আমি ক্লিক করলাম

১৪। Apply দেয়ার পর সতর্ক মেসেজ আসবে যেন কাজ চলাবস্থায় আপনার পিসি বন্ধ না হয়। Yes দিন।

নিচের মত প্রসেসিং শুরু হবে। প্রসেসিং শেষ  না  হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

কাজ শেষ হলে Successful মেসেজ আসবে। OK দিন।  

১৫ এখন দেখুন আমার পিসি খুব সুন্দরভাবে বুট হচ্ছে কোন সমস্যা ছাড়া অর্থাৎ আমার অপারেটিং সিস্টেম সহ অন্যান্য ফাইলগুলো অক্ষত আছে
আমার উইন্ডোজ বুট হচ্ছে
আমার উইন্ডোজ বুট হচ্ছে

আমার উইন্ডোজ লগ অনের জন্য প্রস্তুত
আমার উইন্ডোজ লগ অনের জন্য প্রস্তুত

C ড্রাইভ রিসাইজ করার পর সবগুলো ড্রাইভ সহ My Computer
C ড্রাইভ রিসাইজ করার পর সবগুলো ড্রাইভ সহ My Computer


Partition Wizard Mini Tool দিয়ে এইভাবে যেকোন ড্রাইভকে রিসাইজ করা কোন ব্যাপার নয়। এছাড়া কোন সফটওয়ার ছাড়াই ইচ্ছে করলে Volume Shrink করতে পারেন। 

২টি মন্তব্য:

Comments করার জন্য Gmail এ Sign in করতে হবে।